প্রতীকী ছবি
নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে গেদে চেকপোস্টেও নজরদারি বাড়াল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আসা কোনও মানুষের শরীরে এই ভাইরাসজনিত অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে তা যাতে নজর এড়িয়ে না যায়, তার জন্য বুধবার থেকে এখানে স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়েছে। এই শিবির যৌথভাবে স্বাস্থ্য দফতর ও বিএসএফ চালাবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রতিদিন সকাল ন’টা থেকে সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত এই শিবির খোলা থাকবে। জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (দ্বিতীয়) অসিত দেওয়ান বলেন, “যাঁরা এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছেন তাঁদের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তেমন কিছু ধরা পড়লেই স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চেকপোস্ট হল গেদে। সেখান দিয়ে দৈনিক গড়ে ৬০০-৭০০ জন বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। বুধবার থেকে প্রত্যেকের পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যে, বিগত দু’ সপ্তাহে তাঁরা চিন, ব্যাঙ্কক, হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো কোথাও ছিলেন কিনা। পাশাপাশি প্রত্যেককে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হচ্ছে, তাঁরা ওই সব দেশে অতি সম্প্রতি যাননি। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, যদি দেখা যায় যে এঁদের কেউ গত দু’মাসের মধ্যে এই দেশগুলিতে গিয়েছিলেন তা হলে তাঁদের নিয়ে আসা হবে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। অসিতবাবু বলেন, “যদি কারও শরীরে জ্বরের কোনও ইতিহাস ধরা পড়ে তা হলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হবে। প্রয়োজনে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।”
ভারতের মতো বাংলাদেশের বহু মানুষও চিন, ব্যাঙ্কক, সিঙ্গাপুর বা হংকং এ কাজের সূত্রে, চিকিৎসার জন্য বা বেড়াতে যান। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে চিন্তার এই পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে সীমান্ত পার করার সময় এমন মানুষদের চিহ্নিত করা জরুরি যাঁরা কিছু দিন আগে কোনও কারণে ওই সব জায়গায় ছিলেন। জওয়ানদেরও সর্বদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।