WhatsApp

একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল মেসেজ প্রধান শিক্ষকের! অভিযুক্তকে ঘিরে বিক্ষোভ

ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকলকে স্কুলের সামনে জমায়েত হতে বলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলের সামনে স্কুলপড়ুয়াদের অভিভাবক-সহ গ্রামবাসীরা জড়ো হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল মেসেজ করার অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। মঙ্গলবার তেহট্ট সাহেবনগরে এই বিক্ষোভে শামিল হলন স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। অভিযুক্ত পলাশিপাড়া থানার সাহেবনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে স্কুলের ঘরে আটকে রাখে উত্তেজিত জনতা। পুলিশ অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে এলে অভিভাবকেরা দাবি করতে থাকেন, হাঁটিয়ে থানায় নিয়ে যেতে হবে প্রধান শিক্ষককে। দিনভর বিক্ষোভের জেরে শিকেয় ওঠে স্কুলের পঠনপাঠন।

Advertisement

স্থানীয়দের অভিযোগ, সাহেবনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে অশ্লীল ভিডিয়ো চ্যাট করেছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপূর্বকুমার রায়। ওই চ্যাটের স্ক্রিনশট বেশ কয়েক জনের মোবাইলে চলে যাওয়ায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে বলে দাবি। এর পর ওই শিক্ষকের নৈতিক চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে অপসারণের দাবি তোলেন অভিভাবকেরা।

ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকলকে স্কুলের সামনে জমায়েত হতে বলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলের সামনে স্কুলপড়ুয়াদের অভিভাবক-সহ গ্রামবাসীরা জড়ো হন। এর পর স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের ঘরে গিয়ে তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে তা মেনে নেন প্রধান শিক্ষক। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে প্রধান শিক্ষকের লিখিত বয়ান দেওয়ার পর ঘেরাও ওঠে যায়। যদিও ওই স্কুলের পঠনপাঠন সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

যদিও প্রধান শিক্ষকের দাবি, ‘‘আমি কোনও খারাপ চ্যাট করিনি। ওই ছাত্রীটি একাদশ শ্রেণির একটি ইংরেজি কবিতা বুঝতে পারছিল না। তাই বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।” অশ্লীল চ্যাট না করলে কেন তিনি মুচলেকা দিলেন? এর উত্তরে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘আমার জন্য স্কুলের এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের সমস্যা না হয় এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকার সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করে এই বয়ান লিখেছি।”

শিক্ষকের মুচলেখা দেওয়ার পরে বিক্ষোভ স্তিমিত হলেও কবে স্কুলের পঠনপাঠন শুরু হবে, তা নিয়ে চিন্তায় অভিভাবকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement