ইভটিজিং রুখতে হরিহরপাড়া হাইস্কুলের সামনে পুলিশের নজরদারি। নিজস্ব চিত্র।
ইভ-টিজ়িং রুখতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সামনে নজরদারি শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। বেশ কিছু দিন ধরেই পুলিশের কাছে খবর আসছিল বিভিন্ন হাই স্কুল, হাইমাদ্রাসার সামনে, আশেপাশে বহিরাগত যুবক, তরুণদের ভিড় বাড়ছে। বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করা। বিভিন্ন স্কুলের সামনে জটলা পাকানোর অভিযোগ আসছিল অজ্ঞাতপরিচয় যুবক, তরুণদের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, একাধিক জায়গায় শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটলেও ছাত্রীদের অনেকেই লজ্জার ভয়ে বলতে পারেনি বা পুলিশের কাছে অভিযোগও করেনি।
পুলিশের কাছে খবর আসে সম্প্রতি হরিহরপাড়া, রুকুনপুর, স্বরূপপুর, তরতিপুর, চোঁয়া সহ একাধিক জায়গায় হাই স্কুলগুলির সামনে তরুণ, যুবকদের আনাগোনা বেড়েছে। ওই সমস্ত যুবকদের কেউ কেউ ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে। দাবি, মোটরবাইক, মোবাইল ফোন নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের সামনে তারা দাপাদাপি করে। জানা গিয়েছে, ওই দলে রয়েছে এলাকার কিছু স্কুলছুটও।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে, হরিহরপাড়া হাইস্কুল, রুকুনপুর হাইস্কুলের সামনে ও সংলগ্ন এলাকা থেকে ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ। ছ'টি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তাদের মধ্যে কয়েক জন নাবালকও ছিল। মঙ্গলবার রাতে মুচলেকা দিয়ে, জামিনে মুক্তি পেয়েছে তারা। বুধবারও বিভিন্ন স্কুলের সামনে পুলিশের নজরদারি দেখা গিয়েছে।
হরিহরপাড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ইভ-টিজ়িং রুখতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজের সামনে নজরদারি চলছে।”
সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি চলবে বলেও জানান তিনি। হরিহরপাড়া হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক পাপিয়া ভট্টাচার্য বলেন, “ছাত্রীদের কাছ থেকে আমরা প্রায়শই কটূক্তির অভিযোগ পেতাম। গরমের ছুটির আগে দুই ছাত্রীর কাছ থেকে শ্লীলতাহানির কথা জানতে পারি। পুলিশের উচিত নিয়মিত স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ও রাস্তাঘাটে নজরদারি রাখা।”
হরিহরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার শাসমল বলেন, “পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আশা করছি এরপর স্কুলের সামনে, স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বখাটে ছেলেদের উৎপাত কমবে।”