কারা নিমন্ত্রিত ছিল, পার্টিতে ছিল কে কে, তদন্তে সিবিআই। অলংকরণ: সনৎ সিংহ।
ত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পর তৃণমূল নেতা সমরেন্দু গোয়ালির ছেলে ব্রজগোপালের বাড়িতে জন্মদিনের পার্টিতে কী কী ঘটেছিল, ঘটনাক্রম কী ভাবে এগোয়, তার পুনর্নির্মাণে গেলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। রবিবার হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে ধৃত ব্রজগোপাল ও রঞ্জিৎ মল্লিককে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। সূত্রের খবর, সে দিনের জন্মদিনের পার্টিতে কে কে উপস্থিত ছিলেন, ওই নাবালিকার উপরে নির্যাতনে কারা জড়িত, এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে সিবিআই।
যে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটার পর তার পুনর্নির্মাণ স্বাভাবিক ঘটনা। সেই পুনর্নির্মিত চিত্রনাট্যের উপরে দাঁড়িয়ে হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্ত কোন পথে এগোয়, তা আর কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছে পরিবার। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, বারবার হুমকির কথা জানানো হলেও এফআইআরে তা লিপিবদ্ধ করা হয়নি। শাসক দলের নেতা সমরেন্দ্র তদন্তকে প্রভাবিত করতে চাইছিলেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
ইতিমধ্যে হাঁসখালি-কাণ্ডের গুরুত্ব অনুধাবন করে সিবিআইয়ের ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার অখিলেশ সিংহ কৃষ্ণনগরে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছেন। সেখান থেকে নিজে পুরো তদন্ত পরিচালনা করছেন। এর মধ্যে একাধিক বার নির্যাতিতার বাড়ি ও সমরেন্দ্রের বাড়িতে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। একাধিক জেরায় উঠে এসেছে বেশ কিছু নাম। আর তার ওপর ভিত্তি করে সিবিআই শনিবার রানাঘাট আদালত চত্বর থেকে প্রথম গ্রেফতার করে রঞ্জিতকে। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে সিবিআই সে দিনের সমস্ত ঘটনার পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর মূল অভিযুক্ত ব্রজ ও রঞ্জিতের সঙ্গে ব্রজের বাড়িতে যায় সিবিআই। সঙ্গে ছিলেন সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞরা।