রিন্টু দাস। — নিজস্ব চিত্র।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য ঘনাল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ফটকা আয়ের আশায় অনলাইন লুডো খেলায় আসক্ত ছিল ওই কিশোর। তার জেরে বেশ কিছু টাকা ঋণ করে ফেলেছিল সে। সে কারণেই ওই কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে তার পরিবার সূত্রে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতের নাম রিন্টু দাস (১৪)। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ ওই কিশোরের ঘরের ভিতর আলো জ্বলতে দেখেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাঁরা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পান গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। রিন্টুর দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রিন্টুর বাবা রণজয় দাস বলেন, ‘‘রিন্টু প্রথমে আমাদের লুকিয়ে অনলাইনে গেম খেলা শুরু করেছিল। পরে আমরা যখন বিষয়টি জানতে পারি তখন নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু ফটকা আয়ের নেশা পেয়ে বসেছিল ওকে। তারই করুণ পরিণতি হল আজকের ঘটনা।’’
রিন্টুর প্রতিবেশী বিশ্বজিৎ প্রামাণিকের বক্তব্য, ‘‘লকডাউনের সময় থেকেই ওই কিশোর হাত পাকিয়েছিল অনলাইন লুডোয়। দু'বছরে ও লক্ষাধিক টাকা আয়ও করেছিল ওই গেম থেকে। আশপাশের বেশ কিছু জন ঋণও নিয়েছিল। কিন্তু শোধ করতে না পারায় মানসিক চাপে আত্মঘাতী হল কিশোর।’’ রিন্টু মাড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
এ নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘এ ধরনের অভিযোগ এখনও আসেনি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’