রাজা শেখ। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বোমা মেরে, গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত জিবন্তি হল্ট ষ্টেশনেমহালন্দী-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাজা শেখ নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাজার বাড়ি মহালন্দী-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলা গ্রামে। এই খুনের জন্য অভিযোগের আঙুল উঠেছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার রাতে জিবন্তি হল্ট ষ্টেশনে চায়ের দোকানে বসেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য রাজা শেখ। তখন তাঁকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে পর পর ৪টি বোমা মারা হয়। বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। গুরুতর জখম অবস্থায় জিবন্তি হল্ট ষ্টেশনেই গুলি করে দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আঘাতও করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় বহরমপুর ও কান্দি থানার পুলিশ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। খুনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
খুনের ঘটনা নিয়ে কান্দি ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেছেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে বোমা মেরে ও গুলি করে খুন করেছে। পুলিশের কাছে দাবি করছি দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার।’’
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের কর্মী ও নেতারা খুন হলেই মিথ্যা মামলায় কংগ্রেস কর্মীদের ফাসিয়ে দেওয়া হয়। খুনের পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।’’ সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ধামাচাপা দিতেই কংগ্রেসের উপর দোষারোপ করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী।