চলছে পুলিশি টহল। বহরমপুরের গোয়ালজানে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত বহরমপুরের গোয়ালজান সোমবারেও থমথমে ছিল। তবে শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ সোমবারে নতুন মাত্রা পায়নি। নতুন করে কোনও ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গোপনে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটছে দু'পক্ষেই। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ চলছে। জেলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ।
সোমবার বিকেলে গোয়ালজান গিয়ে সেই থমথমে পরিবেশ দেখা গেল। ভাগীরথী নদীর পাশেই সেই উত্তপ্ত এলাকা। গ্রামে বাইরের কেউ আসছেন না। তবে যাঁরা গ্রামে বাস করেন, তাঁরা সেখানেই রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা রাস্তায় বার হচ্ছেন না। গ্রামে কোথাও পিচের রাস্তা কোথাও ঢালাই রাস্তা। প্রথমে গোয়ালজান রিফিউজি ফেরি ঘাট। তারপর গোয়ালজান সেবা সমিতি তারপর গোয়ালজান জলকালী ক্লাব মোড়। সেখানেই উত্তপ্ত হয়েছিল পরিস্থিতি। যেখানে বোমাবাজি হয় সেখানে বোমার চিহ্ন এখনও রয়েছে। যে কয়েক জন ওই রাস্তা দিয়ে কোনও মতে যাচ্ছেন, তাঁরা ওই বোমার চিহ্ন দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন। রয়েছে পুলিশ পিকেট। পুলিশকর্মীরা সদা সতর্ক রয়েছেন।
শনিবার গভীর রাতে বহরমপুর শহরের পশ্চিমে ভাগীরথী তীরের এই গোয়ালজান এলাকা বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ইট, লোহার রড, লাঠি নিয়ে একে অন্যের উপর হামলা চালায়। পাশাপাশি বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই গন্ডগোলের জেরে দু'পক্ষের কয়েক জন জখমও হন। সংঘর্ষ থামাতে বহরমপুর থানার এক মহিলা পুলিশ কর্মী সহ মোট ছয় পুলিশ কর্মী জখম হন। পুলিশের গাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার গোয়ালজানের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্ত দে বলেন, ‘‘নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। এলাকা বর্তমানে শান্ত।’’ বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। তবে পুলিশকে আরও নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে। তবেই স্থায়ী সমাধান সম্ভব।’’ পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। নতুন করে কেউ গ্রেফতার হয়নি। টহলদারি চলছে।