কাশ্যপপাড়া সর্বজনীন সন্তোষী মাতা পুজো কমিটির মণ্ডপ। —নিজস্ব চিত্র।
অদ্বৈতভূমে রাস উৎসবের খ্যাতি ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। মায়াময় আলো, রাইরাজার শোভাযাত্রার টানে প্রচুর মানুষ রাজপথে নামেন। জনমনে প্রভাব ফেলতে পিছিয়ে নেই ক্লাব, বারোয়ারিগুলোও। সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে সুচারু ভাবে মিলিয়ে দিচ্ছে অধুনা কালের থিম। ঘুরে দেখল আনন্দবাজার।
এবিসিডি ক্লাব
সামাজিক বার্তা থেকে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা দিয়ে শান্তিপুরের রাসের শোভাযাত্রাকে যারা সমৃদ্ধ করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল এবিসিডি ক্লাব। এই বছর তাদের পুজো ৫৭তম বছরে পড়ল। এ বার রাসের শোভাযাত্রায় তারা হাজির করেছে স্বপ্নের বাড়ি, স্বপ্নের আস্তানা। বিভিন্ন প্রাণীদের বাসস্থান দেখানো হবে শোভাযাত্রায়। শামুক, গিরগিটি, ব্যাঙের আস্তানা তৈরি করবে তারা। এই শোভাযাত্রার তাদের বার্তা স্বপ্নের বাড়ি সকলের হোক। সবার যেন মাথার উপরে ছাদ থাকে।
ভারতমাতা পুজো কমিটি
শান্তিপুরের রাসের শোভাযাত্রার আর এক জনপ্রিয় নাম ভারতমাতা পুজো কমিটি। এ বছর তাদের পুজো ৭৭ বছরে পড়ল। শোভাযাত্রায় এ বার থাকছে পুতুল খেলা। বিভিন্ন মডেল এবং আলোর খেলা দিয়ে হবে পুতুলের নাচ। থাকবে ট্যাবলো। একই সঙ্গে তারা বার্তা দিচ্ছে নারী স্বাধীনতা ও নারী মর্যাদার। এর আগেও পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিয়ে তারা সাজিয়েছিলেন তাদের রাসের শোভাযাত্রা। সেখানে সকলকে উপহার দেওয়া হয়েছিল পরিবেশবান্ধব কলম। এ ছাড়াও চাকার বিবর্তন, যোগাযোগ ব্যবস্থার বিবর্তন উঠে এসেছে তাদের শোভাযাত্রায়।
কাশ্যপপাড়া সর্বজনীন সন্তোষী মাতা পূজা কমিটি
প্রতি বছর বিভিন্ন আকর্ষণীয় থিমের ডালি হাজির করে কাশ্যপপাড়া সর্বজনীনের উদ্যোক্তারা। ৪৬তম বর্ষেও ব্যতিক্রম হয়নি তার। এ বছর তাদের থিম বুদ্ধং শরনং গচ্ছামি। তিব্বতের বৌদ্ধ মন্দির উঠে আসছে তাদের মণ্ডপে। প্লাইউড, বাঁশ, চট, কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। থাকছে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। এক সময় একটি পরিত্যক্ত ঢিবিতে শুরু হয়েছিল তাদের পুজো। সেই পুজো কলেবরে বেড়েছে। এর আগে কখনও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ইতিহাস উঠে এসেছে তাদের মণ্ডপে। শিল্পীদের ছবি, মডেল দিয়ে যেমন সাজানো হয়েছিল মণ্ডপ।