Bank Robbery

হাতের ছাপ নকল করে লুট ব্যাঙ্কের টাকা! জালিয়াতদের অস্ত্র ‘সিন্থেটিক ল্যাটেক্স’, রাজ্যে ফের ঝাড়খণ্ড গ্যাং?

সিন্থেটিক ল্যাটেক্স ব্যবহার করে গ্রাহকদের হাতের আঙুলের ছাপ নকল করে নিচ্ছেন জালিয়াতেরা, তা দিয়েই হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা। অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা থাকলেই তৎপর হয়ে উঠছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

গ্রাম ও মফস্‌সলের অনলাইন পরিষেবা কেন্দ্রগুলিতে বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করে থাকেন বহু মানুষ। সেই সূত্রেই লুট হয়ে যাচ্ছে বহু গ্রাহকের টাকা। অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা থাকলেই তৎপর হয়ে উঠছে জালিয়াতেরা। বায়োমেট্রিকের সময় তাঁরা গ্রাহকদের হাতের আঙুলের ছাপ নকল করে নিচ্ছেন। তা দিয়েই হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকা। এ ক্ষেত্রে জালিয়াতদের অস্ত্র হল ‘সিন্থেটিক ল্যাটেক্স’। মুর্শিদাবাদে এই কৌশলে অনেকে প্রতারণার শিকারও হয়েছেন খবর পুলিশ সূত্রে।

Advertisement

তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছেন, সিন্থেটিক ল্যাটেক্স ব্যবহার করে প্রতারণা চক্র চালানোর একটি গ্যাংয়ের হদিস পেয়েছেন তাঁরা। বেশ কয়েক জনকে সম্প্রতি গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই চক্রের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড গ্যাংয়ের জড়িত থাকার কথাও জানতে পেরেছে পুলিশ।

কিন্তু কী ভাবে হয় জালিয়াতি? তদন্তকারীরা জানান, আধার কার্ড তৈরির জন্য ঝাড়খণ্ডের ‘সার্ভিস প্রোভাইডারের’ সিস্টেমে লগ ইন করতে আইডি প্রাপকদের হাতের আঙুল স্ক্যান করতে হয়। সেই সময়েই সিন্থেটিক ল্যাটেক্স ব্যবহার করে হাতের ছাপ নকল করেন জালিয়াতেরা। এই পদ্ধতিতেই পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা ব্যাঙ্ক পরিষেবা কেন্দ্র ও অনলাইন সার্ভিস সেন্টারগুলি থেকে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, প্রতারণাচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও জামতাড়া গ্যাংয়ের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘গত এক মাস ধরে অভিযান চালিয়ে জাল আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রতারণাচক্রের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঝাড়খণ্ড যোগ পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement