tmc

বিজেপিতে গেলেন প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান  

তুষারবাবু ২০০০-২০১৫ পর্যন্ত টানা তিন বার নবদ্বীপ পুরসভায় উপ-পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৮৫ সাল থেকে নবদ্বীপ পুরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে নবদ্বীপে দলের নির্ভরযোগ্য কর্মী ছিলেন তিনি। তবে শেষ পাঁচ বছর দলের অন্দরেই তিনি ব্রাত্য হয়ে ছিলেন। দল ছাড়ার সেটাই কারণ বলে তিনি জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:০৮
Share:

বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে তুষার ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র

পুরভোটের মুখে নবদ্বীপে ধাক্কা খেল শাসক দল। নবদ্বীপ পুরসভার তিন বারের উপ-পুরপ্রধান তুষার ভট্টাচার্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।

Advertisement

তুষারবাবু ২০০০-২০১৫ পর্যন্ত টানা তিন বার নবদ্বীপ পুরসভায় উপ-পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৮৫ সাল থেকে নবদ্বীপ পুরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে নবদ্বীপে দলের নির্ভরযোগ্য কর্মী ছিলেন তিনি। তবে শেষ পাঁচ বছর দলের অন্দরেই তিনি ব্রাত্য হয়ে ছিলেন। দল ছাড়ার সেটাই কারণ বলে তিনি জানিয়েছেন।

কাগজে-কলমে নবদ্বীপ পুরসভার চোদ্দো নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর হলেও দল কার্যত কোনও সম্পর্কই রাখেনি তুষার ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “বছরের পর বছর দলের ডাকের অপেক্ষা করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টে আমার সঙ্গে দলীয় কর্মীদের কথা বলা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।” এ বার তাই পুরভোটের ঠিক আগের সময়টাকে দল ছাড়ার জন্য বেছেছেন তিনি। শুক্রবার কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে তিনি দলে যোগ দেন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, রাহুল সিংহ, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
তুষার ভট্টাচার্যের কথায়, “আমার উপর অবিচার হয়েছে। জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলকে নবদ্বীপে প্রতিষ্ঠিত করতে জীবনপণ করেছিলাম। কিন্তু যখনই পুরসভায় দুর্নীতির প্রতিবাদ করলাম তখনই তালিবানি শাসনের কোপে পড়লাম। আমার সঙ্গে কথা বললে দলীয় কর্মী, কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হল। অনেকদিন অপেক্ষা করে তার পর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘নবদ্বীপে তৃণমূল গণতন্ত্রহীন স্বৈরাচারী দলে পরিণত। আমার কাজ হবে নবদ্বীপে বিজেপির সংগঠন বাড়ানো এবং তৃণমূলের মুখোশ খুলে দেওয়া।”

Advertisement

তবে একে বিশেষ গুরুত্ব না-দিয়ে নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “কারও ইচ্ছার উপর আমরা জোর করতে পারি না। তবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার কারণ নিশ্চয় মানুষ বুঝবেন। এ সব নিয়ে আমরা আদৌ কিছু ভাবছি না।” বিমানবাবুর বক্তব্য, “নবদ্বীপের মানুষ জানেন কেন তিনি ব্রাত্য হয়েছিলেন। এই নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।” তুষার ভট্টাচার্যের যোগদানে নবদ্বীপের বিজেপি নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। এতে নবদ্বীপে তৃণমূলের দূর্গে ফাটল ধরবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement