অপেক্ষা। প্রাথমিক পরীক্ষার টেটের ফর্ম তুলতে লম্বা লাইন করিমপুরে। ছবি: কল্লোল প্রামাণিক।
প্রাথমিক শিক্ষকের টেট পরীক্ষার জন্য ফর্ম দেওয়া শুরু হয়েছে গত ২৯ জুন থেকে। নদিয়া জেলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কল্যাণী, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর ও করিমপুর শাখা থেকে ওই ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। পুরো জেলার মধ্যে মাত্র চারটি শাখা থেকে ফর্ম দেওয়ার কারণে ব্যাঙ্কের সামনে দেখা গিয়েছে বিশাল লম্বা লাইন। করিমপুর শাখায় ফর্ম তোলার লাইনে হাজির হয়েছে করিমপুরের পাশাপাশি পলাশীপাড়া, তেহট্ট, বেতাই এর মতো দূর-দুরান্তের ছেলেমেয়েরা। করিমপুরের সেনপাড়ার দীপঙ্কর মণ্ডল বলেন, “গত কাল এসে ফিরে গিয়েছি। তাই আজ সকাল ৬টায় লাইন দিয়েছিলাম। শেষে ১টা নাগাদ ফর্ম পেয়েছি। পলাশিপাড়ার লাবণি আখতার, মিনতি খাতুনের কথায়, “ফর্ম তোলার জন্য আমাদের কাছে বলতে প্রায় ৫০ কিমি দূরে কৃষ্ণনগর বা ৪০ কিমি দূরে এই করিমপুর। তাই আমরা এখানেই এসেছি। সেই সকাল ১০ টায় প্রখর রোদে ছাতা মাথায় দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ফর্ম পেতে ৪ টা বেজে গেল।’’
তাঁদের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এ বছর ৭০ হাজার শিক্ষক নেবে রাজ্য সরকার। একটা ভাল সুযোগ আছে। তাই যেভাবেই হোক পরীক্ষা দিতেই হবে। সে কারণে এতদূর ছুটে এসেছি।”
বেতাইয়ের বুদ্ধদেব ঘোষ, সুমন্ত হাজরা জানায়, “জেলায় আরও বেশি ব্যাঙ্ক থেকে এই ফর্ম দেওয়ার ব্যবস্থা করলে সকলের সুবিধা হত। এভাবে ৬-৭ ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে থাকাটা খুব কঠিন। ’’ তাঁদের অভিযোগ, ‘‘গরমে রোদে টানা কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এক মহিলা। ব্যাঙ্কের সামনে রাজ্য সড়কের উপরে এত বড় লাইনে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবুও দুপুর ২টোর পর পুলিশ এসে অবস্থার সামাল দিয়েছে। না হলে আমাদের ফর্ম পেতে আরও অনেক দেরি হয়ে যেত।”
করিমপুরের ওই ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার থেকে এই ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। ফর্ম তোলা ও জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী শনিবার। গত সোমবার ৯৪, মঙ্গলবার ২৫৫ ও বুধবার ৪৫০টি ফর্ম দেওয়া হয়েছে।