Marriage Anniversary of God

উড়িয়া বাড়ির বর আর মতিগঞ্জের কনে, ৩০০-তম বিবাহবার্ষিকী ঘিরে হুলস্থুল শান্তিপুরে

প্রায় ৩০০ বছর ধরে এ ভাবেই বিবাহবার্ষিকী পালিত হয়ে আসছে নদিয়ার শান্তিপুরের মতিগঞ্জ মোড়ের আতাবুনিয়া গোস্বামী লেনে। যেখানে বর হলেন মদনমোহন, আর কনে হলেন রাধিকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৩ ২৩:৪১
Share:

মদনমোহন এবং রাধিকার বিবাহবার্ষিকী পালিত হচ্ছে নদিয়ার শান্তিপুরের মতিগঞ্জ মোড়ের আতাবুনিয়া গোস্বামী লেনে। নিজস্ব চিত্র।

আছে ঢাক-ঢোল, কাঁসর ঘণ্টা। আর আলোর রোশনাই। একে একে আসছেন নিমন্ত্রিতেরা। চলছে পাত পেড়ে খাওয়া। এ সবের মধ্য বরপক্ষ এসে পড়ায় মুখার্জি বাড়িতে ব্যস্ততা তখন তুঙ্গে! প্রায় ৩০০ বছর ধরে এ ভাবেই বিবাহবার্ষিকী পালিত হয়ে আসছে নদিয়ার শান্তিপুরের মতিগঞ্জ মোড়ের আতাবুনিয়া গোস্বামী লেনে। যেখানে বর হলেন মদনমোহন, আর কনে হলেন রাধিকা।

Advertisement

কথিত আছে, বহু আগে শান্তিপুরের উড়িয়া গোস্বামী বাড়িতে রাধা ও কৃষ্ণের দু’টি ধাতব মূর্তি ছিল। সেখান থেকে রাধিকার মূর্তিটি চুরি যাওয়ায় একা হয়ে পড়েন কৃষ্ণ। এর পরেই কোন মন্দিরে রাধিকা একা থাকেন, তা খুঁজে বার করতে সচেষ্ট হন ভক্তরা। খোঁজও মেলে। জানা যায়, দীর্ঘ দিন একা রয়েছেন গোস্বামী লেনে মুখার্জি বাড়ির রাধিকা। তাঁর সঙ্গে কৃষ্ণের পুনর্বিবাহ দেওয়ার প্রস্তাব আসে উড়িয়া গোস্বামী বাড়ির থেকে। রাজি হয়ে যায় মুখার্জি পরিবারও। তবে শর্ত একটাই— প্রতি বছর দোলের ক’দিন মদনমোহনকে আসতে হবে মুখার্জি বাড়িতে। সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে, পুজো অর্চনা সেরে খাওয়াদাওয়া করে তবেই বিদায়।

বুধবারও এই অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জন মুখার্জি বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করেন। মেনুতে ছিল লুচি, ছোলার ডাল, আলুর দম, বোঁদে। মুখার্জি বাড়ির সদস্য বীণাপাণি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার ঠাকুমার কাছে শুনেছি, প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই রেওয়াজ চলছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement