দলের সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূলের রাজ্য সরকার গঠনে মুর্শিদাবাদের ২০ জন বিধায়ক নির্ণায়কের ভূমিকা নিয়েছেন। বহরমপুরে এসে বৃহস্পতিবার জেলা নেতাদের সেই কথা জানিয়ে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একই সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির সমালোচনাই একুশে জুলাইয়ের মূল সুর শাসক দলের, তাও রবীন্দ্রসদনে উপস্থিত জেলা নেতা, মন্ত্রী ও কর্মীদের বুঝিয়ে গেলেন তিনি। তিনি বলেন, “এ বারে একটা সাম্প্রদায়িক দলকে নিয়ে যখন সবার মনে একটা সংশয় ছিল কী হবে কী হবে? সেই সময় আপনারা এবং মুর্শিদাবাদের মানুষ তাঁরা এসে বললেন কংগ্রেস নয়, সিপিএম নয় আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকব। তাই আমাদের সরকার বানাতে যদি সব থেকে বেশি কেউ সহযোগিতা করে থাকে তা হল এই জেলা মুর্শিদাবাদ। সেই সময় যে শক্তি বাংলায় আসার জন্য চক্রান্ত করছিল সেই শক্তি যদি বাংলায় আসত তা হলে আমরা মানুষ হিসেবে আর এই বাংলায় থাকতাম না।”
বিধানসভা নির্বাচনের পর পুরসভা নির্বাচন হলেও কোভিড বিধির কারণে বড় সভার আয়োজন সে ভাবে করতে পারেনি তৃণমূল। সে দিক থেকে এ দিনই ছিল এক অর্থে জেলার কর্মিসভাও। সেখানে কংগ্রেস ও সিপিএমের জোটকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেন, “যে একুশে জুলাইয়ে কংগ্রেস কর্মীরা সিপিএমের হাতে মার খেয়ে জীবন দিলেন, আজ সেই কংগ্রেস সিপিএমের হাত ধরে বাংলা চিনতে চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে দিন যদি তৃণমূল না তৈরি করতেন, তা হলে এই কংগ্রেস দল করার লজ্জায় এক ঘটি জলে আমাদের ডুবে মরতে হত।” সেখানেই রাজ্যে কংগ্রেসের একমাত্র সাংসদ অধীর চৌধুরীর নাম না করে ফিরহাদ বলেন, “এখন একটা টিমটিম করছে সেটাও যাবে।”
অধীর চৌধুরী বলেন, “যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দম থাকে তা হলে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়াক। আমি চ্যালেঞ্জ করছি হেরে গেলে রাজনীতি করা ছেড়ে দেব। দু’বছর আগেই এই কথা বলে রাখলাম।”
রঘুনাথগঞ্জে দলীয় কর্মিসভায় ফিরহাদের বার্তা, ‘‘কংগ্রেসের শেষ জেলা ছিল মুর্শিদাবাদ। তাও শেষ। এখন বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে জিততে হবে।” নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেন, “এক জন চলে গিয়েছেন ওদিকে। স্বপ্ন দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলি, পাগলে কী না বলে ...। এ জেলাতে এক সময় খুব আসতেন। এখন ডিপ্রেশনে ভুগছেন। ওর এক পরিচিতকে বলেছি একটু মনোবিদ দেখাও।’’ বিজেপি সেই মন্তব্য হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে।