পাত্রকে নিয়ে চলেছে পুলিশ।
নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে কালঘাম ছুটল পুলিশের। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে আসা পাত্রকে মোটরবাইকে চড়িয়ে তাঁর ঝাড়খণ্ডের বাড়ির সীমানায় রেখে এল পুলিশ। সঙ্গী জনা ৪০ বরযাত্রী অবশ্য খাওয়া দাওয়া সেরে গাড়িতে করে রওনা দিলেন যখন, তখন বিকেল গড়িয়েছে। বিয়ে অবশ্য রোখা গিয়েছে।
এ দিন বছর ১৫ বয়সের পাত্রী সেজেগুজে প্রস্তুত ছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে পাত্রও এসে হাজির পাত্রীর বাড়িতে। সঙ্গে ৫টি গাড়িতে জনা চল্লিশ বরযাত্রী। নিমন্ত্রিতদের খাওয়া দাওয়ায় ব্যস্ত প্রতিবেশীরা। শনিবার ঠিক তখনই ভর দুপুরে পাত্রীর বাড়িতে গিয়ে হাজির ফরাক্কা থানার পুলিশ। সঙ্গে সিনি, চাইল্ড লাইনের মতো একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা। তাঁরা বিয়ে বন্ধ করতে বললে গ্রামেরই শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর সঙ্গীরা দাঁড়ালেন পাত্রীর পরিবারের পাশেই। তাঁদের যুক্তি, এত রান্নাবান্না নষ্ট হবে? এ বিয়ে বন্ধ হলে বিরাট আর্থিক খরচের বোঝা চাপবে পরিবারের উপর।প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী সকলেই বহু বুঝিয়েও রাজি যখন করানো যাচ্ছে না, তখন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে পুলিশের। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশেই এক বাড়িতে থাকা পাত্রকে মধ্যে বসিয়ে মোটরবাইকে করে জাতীয় সড়ক ধরে সোজা ঝাড়খণ্ডের সীমানায় পৌঁছে যান দুই পুলিশকর্মী। পাত্র উধাও হতে অবশেষে বন্ধ হল বিয়ে। পুলিশ অবশ্য আটক করেছে পাত্রীর আধার কার্ড।