আইএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের পরে অরুন্ধতী বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
আইএসসি পরীক্ষায় জেলা থেকে অত্যন্ত ভাল ফল করল কল্যাণীর জুলিয়ান ডে স্কুলের ছাত্রী অরুন্ধতী বিশ্বাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩৯৮। এবারের আইএসসি পরীক্ষায় ৯৯.৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে এই ছাত্রী। মেধাবী এই ছাত্রী চায়, আগামী দিনে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করতে। তার এই সাফল্যে খুশি অরুন্ধতীর পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ছাড়াও ওই স্কুলের ৭২ জন দশম শ্রেণির পরীক্ষার্থী এই বছর আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
পরীক্ষার আগে নিয়ম করে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করলেও সারা বছর ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করেনি অরুন্ধতী। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে সে। মাত্র দু’জন গৃহশিক্ষক ছিল তার। তবে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া ছিল। পাশাপাশি, গানবাজনার সঙ্গেও যুক্ত থেকেছে সে। অরুন্ধতীর বাবা অংশুমান বিশ্বাস কলেজে শিক্ষকতা করেন। মা অর্পিতা বিশ্বাস চট্টোপাধ্যায় কলকাতার একটি স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। পড়াশোনার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই পাহাড়ে ভ্রমণের নেশা রয়েছে অরুন্ধতীর। সে বলে, ‘‘পাহাড়ে অফবিট জায়গা বরাবরই পছন্দের। পাঠ্যসূচি ছাড়াও বিভিন্ন সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকতে ভাল লাগে।’’
অন্য দিকে, এই বছর আইসিএসই পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল করল কৃষ্ণনগরের বিশপ মোরো স্কুল। স্কুল থেকে ১৩৮ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। সকলেই কৃতকার্য হয়েছে। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে প্রাপ্তি ঘোষ। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। পাশাপাশি, আইএসসি পরীক্ষায় এই স্কুল থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে অগ্নিভ নন্দী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩৯৫। স্কুলের ৭৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকেই কৃতকার্য হয়েছে।
শহরের আরও একটি স্কুল কৃষ্ণনগর একাডেমি থেকে আইসিএসই পরীক্ষায় ১৬৬ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। এক জন অকৃতকার্য হয়েছে। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে প্রমাশ্রী এস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৫। আর আইএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল ১০৭ জন। তার মধ্যে এক জন অকৃতকার্য হয়েছে। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে স্মৃতি বর্মণ। তার প্রাপ্ত নম্বর হল ৩৮১।
চাকদহ স্বামী বিবেকানন্দ সেন্টেনারি স্কুলের পড়ুয়ারা এই বছর প্রথম আইএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এ বার চার জন পরীক্ষা দিয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই কৃতকার্য হয়েছে।
সহ-প্রতিবেদন: বকুল দেবনাথ, সৌমিত্র সিকদার