চলছে উচ্ছেদ। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ।
দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছিল। শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত রেল লাইনের দুই পাশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হল বৃহস্পতিবার। গোলমালের আশঙ্কায় এ দিন জেলার পুলিশ প্রশাসন, আরপিএফ-এর কর্তাদের উপস্থিতিতে উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়। তবে কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের। উচ্ছেদ শুরু হলে রেল লাইনের দু’পাশের দোকানদাররা নিজেরাই মালপত্র সরিয়ে নেন।
এই এলাকা দিয়ে কয়েক বছর আগেও শান্তিপুর-নবদ্বীপ ঘাট ভায়া কৃষ্ণনগর ন্যারোগেজ ট্রেন চলাচল করত। পরবর্তিকালে ন্যারোগেজ তুলে দিয়ে ব্রডগেজ লাইনের পরিকল্পনা হয়। সেই মত ন্যারোগেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্রডগেজ লাইন তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতায় বাকি অংশের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে আমঘাটা পর্যন্ত ট্রেন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল। সেই মত এই আট কিলোমিটার রেল লাইনের দুই পাশে উচ্ছেদের কাজ শুরু হল। রেল লাইনের দুই পাশে বেশ কিছু স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান, মন্দির আছে। এদিন বেলা ১২টা থেকে কৃষ্ণনগরের কাছে রোড স্টেশন বাজার এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার দিন কয়েক আগে থেকে রেল ও প্রশাসনের তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। মাইক প্রচারও করা হয়েছে। এদিন বেলা এগারোটা থেকে আরপিএফ, জেলা পুলিশের কর্তাদের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক ও কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের বিডিও উপস্থিত হন। তাঁরা প্রথমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তার পর অস্থায়ী ও স্থায়ী দোকানের মালিকরা নিজেদের মালপত্র সরিয়ে নেন।কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক চিত্রদীপ সেন বলেন, “উচ্ছেদের কাজে কেউই বাধা দেননি। শাস্তিপূর্ণ ভাবেই কাজ শুরু হয়েছে।”