—প্রতীকী চিত্র।
শীত পড়তেই মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে যায় পিকনিক। শেষ হয় পৌষ পার্বণে। পিকনিক মানেই খাওয়া দাওয়া। আর সেখানেই দেখা যায় প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহার। প্লাস্টিকের পাতা-গ্লাস থেকে একাধিক সামগ্রী। যা থেকে ছড়ায় দূষণ। তাই প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান চালাক প্রশাসন, আর্জি পরিবেশ কর্মীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট মহকুমার কোথাও পিকনিক স্পট না থাকায় যত্রতত্র হয় পিকনিক। তেহট্ট, পলাশিপাড়া, নাজিরপুর, বেতাই চাঁদবিল, করিমপুর সহ বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে নদী বা রাস্তার পাশে এমনকি চাষের জমিতেও পিকনিক করতে দেখা যায়। পিকনিক করতে দেখা যায় কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের দুই পাশে, নদীর পাড়, বিভিন্ন বাগানে। পৌষ পার্বণের দিন উল্লেখযোগ্য ভাবে পলাশিপাড়া ব্রিজের নিচে জলঙ্গি নদীর তীর বরাবর প্রচুর লোকজন পিকনিক করতে আসেন। সমস্যা দেখা দেয় পিকনিকের শেষে। দেখা যায় যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে থার্মোকলের থালা ও প্লাস্টিকের গ্লাস, খাবারের উচ্ছিষ্ট সহ ব্যবহৃত প্লাস্টিকের নানা সামগ্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারবার প্রচার এমনকি অভিযান চালিয়েও তেহট্ট জুড়ে বিভিন্ন দোকানে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। বাজার থেকে বড় বিপণি সর্বত্রই প্লাস্টিকের রমরমা। পরিবেশ কর্মীরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য অনায়াসেই নদীতে, জলাশয়ে, জমিতে ফেলায় তা থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে। এই নিয়ে লাগাতার প্রচারের পরেও সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য পিকনিকের এই মরসুমে প্রশাসনের তরফে দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে সতর্ক করা প্রয়োজন। পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে জনমত গঠন করা জরুরি।
মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হবে।”