— প্রতীকী ছবি।
ভিন্রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকের। শুক্রবার কেরলের এর্নাকুলাম জেলায় ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ডোমকলের ফকিরাবাদ পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা বছর ২৪-এর সিনারুল ইসলামের পরিবারে স্ত্রী, সন্তান, মা এবং এক ভাই রয়েছে। কয়েক বছর আগে যুবকের বাবার মৃত্যু হয়। তার পরেই সংসার চালানোর ভার নিতে হয় সিনারুলকে।
গত প্রায় ৫ বছর ধরে ভিন্রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন সিনারুল। চার মাস আগেই কাজে গিয়েছিলেন কেরলে। সেখানেই রাস্তার কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন সিনারুল। লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। সহকর্মীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের মা মিনুয়ারা বেওয়া বলেন, “কেরলে যেখানে আমার ছেলে কাজ করছিল সেখানে আমার অন্য ভাইয়েরাও রয়েছে। তাঁদের থেকেই প্রথম খবর পাই। বাড়ির একমাত্র ছেলে সিনারুল। তাই বাইরে কাজ করতে যেতে হয়েছিল। কিন্তু এমন কিছু ঘটে যাবে সেটা জানলে হাজার কষ্ট হলেও ছেলেকে পাঠাতাম না।”
পরিবার সূত্রে খবর, ঠিকাদার সংস্থা মুর্শিদাবাদের বাড়িতে দেহ ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন সিনারুল। তাঁর অকালমৃত্যুর পর সংসার কী করে চলবে, সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পরিবার। মালদহ, মুর্শিদাবাদের গ্রাম থেকে বহু তরুণ পেটের দায়ে দক্ষিণ ভারতে শ্রমিকের কাজে যান। সিনারুলও তেমনই গিয়েছিলেন। কেরলে কাজ করে মুর্শিদাবাদের বাড়িতে টাকা পাঠাতেন। সেই টাকায় চলত সংসার। কিন্তু এ বার কী হবে?