প্রতীকী ছবি।
পুজো আসতে আর মাত্র দিন কয়েক বাকি। ঠিক তখনই পুজোর বাজার জমে ওঠায় খুশি ব্যবসায়ীরা। কান্দি মহকুমার সালার থেকে খড়গ্রাম, কান্দি থেকে বড়ঞা সর্বত্রই একই অবস্থা। ব্যবসায়ীদের দাবি, “বাজার ভালই জমেছে। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ। গ্রামাঞ্চলের ক্রেতার সংখ্যা কম হলেও কয়েক দিন ধরে দোকানে ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন।”
এ বার বৃষ্টির অভাবে শস্যগোলা বলে পরিচিত কান্দি মহিকুমায় আমন ধানের চাষ তুলনামূলক ভাবে কম হয়েছে। সেই কারণেই ক্রেতারা বাজার মুখো হবেন না, এমন আশঙ্কা ছিলই, কিন্তু তার মধ্যে এ বার বাজারে ক্রেতারা যে ভাবে কেনাকাটা করছেন, সেটা ভাবতেও পারেননি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
এলাকার ব্যবসায়ীদের দাবি পুজোর আগে টানা দেড় মাস ধরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুজো বাজারে কেনাকাটি করতে ভিড় লেগে যেত। সকালে ন’টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ক্রতারা চুটিয়ে কেনাকাটা করছেন। এখনও সেই ভাবে বেচাকেনা শুরু না হলেও বাজার ক্রেতারা আসছেন বলে দাবি করে ব্যবসায়ীরা বলছেন কোভিড-১৯ সমস্ত কিছু পাল্টে দিয়েছে। যদিও কান্দি কাপড় ব্যবসায়ী মহিতোষ দত্ত বলেন, “রথের পরে পরেই পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়। এ বার পুজোর কেনাকাটা শুরু হয়েছিল। কিন্তু অন্য বছর যে ভাবে পুজোর বাজার অনেক আগে থেকেই শুরু হয় এ বার কিছুটা দেরিতে হলেও বাজার এখন বেশ জমেছে।”
ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, এখন পুজোর বাজার এতটাই জমেছে যে দোকানের কর্মীরা নিয়মিত ভাবে খাওয়ার সময় পাচ্ছে না। বাড়ির পরিবর্তে দোকানের মধ্যেই কিছু খেয়ে নিয়ে ফের ক্রেতাদের দাবি মেটাতে হচ্ছে।কান্দি মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক তারকেশ্বর প্রামাণিক বলেন, “আমাদের মহকুমার বাজারের সংখ্যা বেড়েছে, একই সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বার পুজোর বাজার যে ভাবে জমার আশা করা হয়েছিল সেই ভাবে প্রথম দিকে জমেনি। এখন বাজারে ক্রেতা দেখে মনে হচ্ছে পুজোর বাজার জমেছে।”