আতঙ্ক: কালীনগরে। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম
এনআইএ নিয়ে আতঙ্ক যেন ফের গ্রাস করেছে গোটা শমসেরগঞ্জকে। সকলেরই ভয় আল কায়দা’র অভিযোগ নিয়ে ফের শমসেরগঞ্জে ঢুকে পড়বে না তো এনআইএ? তাই মুখে কুলুপ সাধারণ মানুষ থেকে পঞ্চায়েত এমনকি পুর কর্তাদেরও। যে চায়ের দোকানগুলিতে সকাল সন্ধ্যে প্রতিটি ঘটনা নিয়ে তর্ক জমে ওঠে সেখানেও আল কায়দার ধরপাকড় নিয়ে টুঁ শব্দটিও নেই কারও মুখে। এমনকি পঞ্চায়েত প্রধান ও পুরকর্তারাও বলছেন, “আমাদের এনআইএ’র মধ্যে জড়াবেন না।“
জাল টাকা নিয়ে শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কার অন্তত ৭টি মামলার তদন্ত পেয়েছে এনআইএ। সেই তদন্তে বহুবার এন আইএ-র অফিসারেরা এসেছেন শমসেরগঞ্জে। এসেছেন খাগড়াগড়ের তদন্তেও। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে শমসেরগঞ্জ থেকে যারা গ্রেফতার হয়েছে, এখনও তারা জেল হেফাজতে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসের ওই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হয় এক রোহিঙ্গা শরণার্থী। বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে ১৩টি বোমা ব্যবহার করা হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুর পোশাক পড়ে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এদের মধ্যে মুজিবুল্লা ও ইমতিয়াজ ধরা পড়তেই নাম উঠে আসে শমসেরগঞ্জের রতনপুরের জামিরুল শেখের। তার খোঁজ মেলে উত্তরবঙ্গের ফাঁসিদেওয়ায়। তার কাছ থেকেই একে একে উঠে আসে শমসেরগঞ্জের ৬ জনের নাম।
কাঁকুড়িয়া থেকে গ্রেফতার হয় এক শিক্ষক। ওই গ্রামের সালাউদ্দিন শেখ বলছেন, ‘‘সে যে কোনও খারাপ কাজে জড়িত থাকতে পারে, বিশ্বাস করা যায় না। এনআইএ হঠাৎ তাকেই বা ধরল কেন, এটাও তো চিন্তার। কে কিভাবে কার সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে, তা ভাবলে ভয় হয়। সোশাল মিডিয়ায় কোথায় কে কার সঙ্গে বন্ধুত্বে জড়িয়ে পড়ব তাতে চিন্তা হয়। তাই এসব নিয়ে কথা বলতে সকলেই ভয় পাই।”বাবলু মণ্ডল বলছেন, ‘‘তাকে ভাল ছেলে বলেই সবাই জানে। কিন্তু মুখ খুললে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে ভেবে এসব নিয়ে সকলেই চুপচাপ।”রতনপুরের কামাল শেখের কথায়, ‘‘এনআইএ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ডোমকলের ঘটনার পর ভয়ে ভয়ে রয়েছে শমসেরগঞ্জও। এ সব নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভাল।”