Health Care Center

গ্রামবাসীদের বরাভয় দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারবড়ঞা ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তিনশোরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য ভরসা করেন বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৫:৫০
Share:

সেই হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র

প্রতিদিন সকাল হলেই হাসপাতালের আউটডোরের সামনেটায় রোগীদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। বেলা যত বাড়ে, লাইন দীর্ঘ হতে থাকে ততই। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, করোনার আবহে সামান্য জ্বর কিংবা সর্দি-কাশি হলেও তাঁরা সটান হাজির হচ্ছেন বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসার পাশাপাশি এই রোগ নিয়ে গ্রামবাসীরা যাতে অহেতুক আতঙ্কে না ভোগেন, সেটাও দেখছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

বড়ঞা ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তিনশোরও বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য ভরসা করেন বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে। ৩০ শয্যার ওই হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ও নার্সের অভাব রয়েছে বলে হাসপাতালে সূত্রে খবর। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, পরিকাঠামোর অসুবিধে সত্ত্বেও লকডাউনের সময় সর্বক্ষণ পরিষেবা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর শুরুতে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও লকডাউনের শেষের দিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় বেড়েছে আউটডোরে। আলাদা ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। সেখানেই জ্বর কিংবা সর্দিকাশি-সহ বিভিন্ন অসুখের রোগের চিকিৎসা হচ্ছে। হাসপাতালে রবিবার কিংবা ছুটির দিনেও বহির্বিভাগে রোগী দেখছেন ডাক্তারবাবুরা। হাসপাতালের সামনে রোগী প্রতীক্ষালয় চত্বরেও ২৪ ঘণ্টা একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাজির থাকরছেন। ভিন রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরা এলাকায় ফিরলে তাঁদের যাতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয়, সেই জন্য এই ব্যবস্থা।

স্থানীয় বাসিন্দা তাপু দাস ও রবি শেখরা বলেন, “রাতেও হাসপাতালে গেলে ডাক্তারবুদের দেখা মিলছে। এটাই স্বস্তির। বড়ঞা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চয়ন হীরা বলেন, “ দূর-দূরান্ত থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড় যাতে না বাড়ে, সেই জন্য ২৪ ঘণ্টা বহির্বিভাগে চিকিৎসা চলছে। সতর্কতা অবলম্বনই যে করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, সেটা সকলকে বোঝাচ্ছি আমরা।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement