Higher Secondary Examination

পরীক্ষাকেন্দ্রে সভাধিপতি, শোরগোল

সোমবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সুতি ও শমসেরগঞ্জের দু’টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা।

Advertisement

জীবন সরকার 

শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৫৬
Share:

পরীক্ষাকেন্দ্রে রুবিয়া সুলতানা। —নিজস্ব চিত্র।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যেকার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করলেন জেলার সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা নিজেই। মঙ্গলবার ফেসবুকে তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেই সেই ভিডিয়ো পোস্ট করায় শোরগোল পড়ে যায় জেলা জুড়ে। প্রশ্ন ওঠে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যখন মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছেন তখন কিভাবে নজরদার ও পরীক্ষা ইনচার্জদের নজর এড়িয়ে সে ভিডিয়ো তোলা হল (এই ভিডিয়োর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার)?

Advertisement

সোমবার উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সুতি ও শমসেরগঞ্জের দু’টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা। সুতিতেই বাড়ি তাঁর। পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যেই নজরদার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শ্রেণি কক্ষের মধ্যে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এ সময় সভাধিপতির সঙ্গে আরও বেশ কয়েক জন ব্যক্তিও ঢোকেন পরীক্ষা কেন্দ্রে।

অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সভাধিপতি বা তাঁর সঙ্গীদের কেউ মোবাইলে ভিডিয়ো করেন। সেই ভিডিয়ো নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন সভাধিপতি। আর তাই ঘিরেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কিভাবে এক জন নির্বাচিত প্রশাসনিক কর্তা এ ভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করলেন?

Advertisement

পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সেখানে ঢুকে এ ভাবে ভিডিয়ো করতে পারেন না কেউ। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনচার্জ কেন বাধা দিলেন না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

শমসেরগঞ্জের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক মেহেবুব ইশা বলেন, “জেলা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসেন একদল প্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন। তাঁরা মোবাইলে ছবি তুলে থাকলে আমার জানা নেই। যাঁরা পরিদর্শনে এসেছিলেন তাঁরা সকলেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি।”

পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনচার্জ বাপ্পাদিত্য দাস বলেন, “যারা পরিদর্শনে এসেছিলেন সকলেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির প্রতিনিধি (উপদেষ্টা কমিটির সদস্য)। ছবি কে তুলেছেন জানা নেই।”

সভাধিপতির দাবি, “আবেগের বশবর্তী হয়েই ছেলেরা ফেসবুকে পোস্ট করেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সে ছবি ডিলিট করে দেওয়া হয়। যাওয়া উচিত হয়নি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement