বিক্ষোভের মুখে দিলীপ

রাজু দত্ত বলেন, ‘‘তৃণমূল থেকে জামুয়ার পঞ্চায়েত সদস্যেরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যাঁরা বিনা ভোটেই পঞ্চায়েতে জিতেছে মারদাঙ্গা করে, আমাদের কর্মীদের বোমা মেরেছে, যাদের ভয়ে পালিয়ে বেরাতে হয়েছে দলের কর্মীদের, আজ তারা বিজেপিতে আসবে, তা মেনে নেব না কিছুতেই।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫১
Share:

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল ছবি

ফরাক্কায় এসে দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে রঘুনাথগঞ্জে একটি বেসরকারি লজে ওঠেন দিলীপ। সেখানেই রঘুনাথগঞ্জ মণ্ডলের সভাপতি রাজু দত্তের নেতৃত্বে কয়েকজন দলীয় নেতা দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। তাঁদের অভিযোগ, জামুয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান-সহ ৯ জন তৃণমূল সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন গত জুলাই মাসে। এই দলবদল মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

Advertisement

রাজু দত্ত বলেন, ‘‘তৃণমূল থেকে জামুয়ার পঞ্চায়েত সদস্যেরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যাঁরা বিনা ভোটেই পঞ্চায়েতে জিতেছে মারদাঙ্গা করে, আমাদের কর্মীদের বোমা মেরেছে, যাদের ভয়ে পালিয়ে বেরাতে হয়েছে দলের কর্মীদের, আজ তারা বিজেপিতে আসবে, তা মেনে নেব না কিছুতেই।” দলীয় কর্মীরাও বলেন, ‘‘২০ বছর ধরে বিজেপি করি। মার খাব, পালিয়ে বেড়াব। আর ওরা এসে বিজেপির অফিসে বসবে, পঞ্চায়েত চালাবে তা মানব কি করে!’’ দিলীপ তাঁদের অভিযোগ শুনে বলেন, “তৃণমূল থেকে আসা কর্মীদের সঙ্গে যেমন করে হোক মানিয়ে নিতে। তবে, তাদের দলের কোনও পদে বসানো হবে না।”

কিন্তু বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তা মানতে রাজি হননি। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে লজের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দলের শতাধিক কর্মী। পরে বিকেলে দলের সভায় যোগ না দিয়ে বাড়ি ফিরে যান তাঁরা। পরে সাংবাদিকদের রাজু বলেন, ‘‘এই অবস্থায় তৃণমূল থেকে আগতদের সঙ্গে দলে থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পুজোর পরই দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’

Advertisement

দলের উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সুজিত দাস অবশ্য বলেন, “কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে ঠিকই। তাদের ক্ষোভ অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবু দলের স্বার্থে তাদের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভ মেটাবার চেষ্টা করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement