মা এবং সদ্যোজাতকে নিয়ে ফের হাসপাতালে ছোটে পরিবার। যদিও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। ছবি: প্রতীকী
ফিরিয়ে দিয়েছিল হাসপাতাল। বাড়ি পৌঁছনোর আগে টোটোতে প্রসব তরুণীর। মা এবং সদ্যোজাতকে নিয়ে ফের হাসপাতালে ছোটে পরিবার। যদিও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় গাফিলতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। তবে চিকিৎসক দায় অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, প্রসূতির নাম পায়েল বিশ্বাস। কৃষ্ণনগরে কোতোয়ালি থানা এলাকার সুভাষনগরের বাসিন্দা। প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে বুধবার বেলা ১টা নাগাদ কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, সন্তান প্রসব হতে এখনও এক মাস বাকি রয়েছে। পরিবার জোরাজুরি করলেও চিকিৎসক ফেরত পাঠিয়ে দেন।
শেষ পর্যন্ত বাড়ির দিকে রওনা দেন প্রসূতি। টোটো করে ফেরার পথে বেলা ৩টে নাগাদ সন্তান প্রসব করেন পায়েল। তখনই তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয় প্রসূতির। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলে পরিবার। পায়েলের আত্মীয় কাকলি বিশ্বাস বলেন, ‘‘চিকিৎসক ভাল ভাবে না দেখেই এক মাস পরে আসতে বলেন। অথচ এক ঘণ্টার মধ্যেই রাস্তায় সন্তানপ্রসব হয়। এর থেকে বড় গাফিলতি আর কী হতে পারে?’’
যদিও হাসপাতালে চিকিৎসকেরা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ দাস বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। কোনও ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।’’