ধর্না। —নিজস্ব চিত্র।
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে অধ্যক্ষ ঘেরাও করেছেন এবং ধর্নায় বসেছেন। বৃহস্পতিবার সারাদিন বিক্ষোভ-ধর্না চলে। তবে হাসপাতালের সমস্ত বিভাগে কাজ এ দিন চালু ছিল।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হাসপাতালে শিক্ষক-চিকিৎসক কম। কিন্তু গত পাঁচ বছর কোনও নিয়োগ নেই। গত বছরেরে নভেম্বরের শেষে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তার প্যানেলও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর ও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মতানৈক্যের জেরে তা থমকে যায়। রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজে নির্দিষ্ট সময় পর-পর পদন্নোতির সুবিধা থাকলেও সেই সুবিধা এখানে নেই। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সত্ত্বেও ২০১৯-এর বর্ধিত বেতন কাঠামো সব মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত সরকারি ডাক্তারেরা পাচ্ছেন। অথচ জেএনএমের চিকিৎসকেরা পাচ্ছেন না। আরও অভিযোগ, ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের আওতায় তাঁদের আনা হয়নি।
গত তিন বছর ধরে এ নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন সময় আন্দোলনও করেছেন। কিন্তু কোনও ফল পাননি বলে অভিযোগ। কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক সুবিকাশ বিশ্বাস বলেন, “গত তিন বছরে একাধিক বার এই বিষয়গুলো নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আমরাও পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের অন্তর্গত। তাহলে আমরা এই সুবিধাগুলো কেন পাব না? আমরা কোনও সদর্থক উত্তর না পেলে ধর্না চালিয়ে যাব।”
ধর্নাকারীরা জানিয়েছেন, এই সমস্ত দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা স্বাস্থ্যসচিব, অর্থসচিব, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে বহুবার চিঠি দিয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুমন কুমার রায় বলেন, “আমাকে ঘেরাও করার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। আমি এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন করি। বিশ্ববিদ্যালয়কে সামগ্রিক উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে।” স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক কাকলি বসু ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। নিজস্ব চিত্র