ভোট মিটতেই প্রয়োজন ফুরোয় কামরুর

আর, সেই গুঞ্জনে ইন্ধন জোগাচ্ছেন দলের মেজ-সেজ নেতার একাংশ। তবে, কামরুর হয়ে দরাজ সার্টিফিকেটও মিলছে, ডোমকলের পুর চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন যেমন বলে চলেছেন, ‘‘দলের দক্ষ ওই নেতাকে (কামরু) ফাঁসানো হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ০১:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

ডোমকলে পুর নির্বাচন শেষ হতেই প্রয়োজন ফুরিয়েছিল তার। মঙ্গলবার, নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার পরে কামরুজ্জমানকে ঘাড় থেকে ‘ঝেড়ে’ ফেলার এই দলীয় সিদ্ধান্তের গুঞ্জন ডোমকলের হাওয়ায় উড়ছে বৃহস্পতিবার দিনভর।

Advertisement

আর, সেই গুঞ্জনে ইন্ধন জোগাচ্ছেন দলের মেজ-সেজ নেতার একাংশ। তবে, কামরুর হয়ে দরাজ সার্টিফিকেটও মিলছে, ডোমকলের পুর চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন যেমন বলে চলেছেন, ‘‘দলের দক্ষ ওই নেতাকে (কামরু) ফাঁসানো হয়েছে।’’ ছেলের সুরেই সুর মিলিয়েছেন মান্নান হোসেন। দলের জেলা সভাপতি, বলছেন, ‘‘‘কামরুজ্জামানের বাড়ি জিতপুর নতুন পাড়ায়। আর গণ্ডগোল হয়েছিল হরিডোবায়। অথচ কামরুকে একটি খুনের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হল!’’ তবে, সৌমিক ঘনিষ্ঠ দলের এক জেলা নেতা ধরিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘বছর ঘুরে গেলেও খুনের ঘটনায় জড়িত কামরুর টিকি স্পর্শ করার সাহস হল না পুলিশের, আর তাকেই কি না গ্রেফতার করে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারা দিল পুলিশ, দলের অনুমোদন ছাড়া এটা সম্ভব!’’

গত বিধানসভা নিবার্চনের দিন সকালে স্ত্রী মুর্শিদা বিবিকে নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলের হরিডোবার এক সিপিএম কর্মী তহিদুল ইসলাম। বুথের সামনেই বোমা মেরে খুন করা হয় তাঁকে। ওই ঘটনার পর এলাকা ছাড়া ছিল কামরুজ্জামান। রাজ্যের তাবড় নেতাদের ডেরায় দিন কাটিয়ে, দল ক্ষমতায় ফিরতেই ডোমকলে নিজের রাজ্যপাটে ফেরে সে। এবং তার পর থেকে প্রকাশ্যে চলাফেরায় বাধা পড়েনি তার। এমনকী ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পরে সবুজ আবির মেখে ঘুরতেও দেখা গিয়েছিল তাকে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘মাস কয়েক ধরে কামরু ধরেই নিয়েছিল, ছাড় পেয়ে গিয়েছে সে। পুলিশকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে।’’ সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়াই কি কাল হল তার? দলের অন্দরে সে প্রশ্নই ঘুরছে এখন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement