বাইক দুর্ঘটনায় মৃত রানাঘাটের দুই যুবকের। প্রতীকী চিত্র।
ছোট থেকেই দু’জনের একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা, একই গ্রামে বাড়ি। দুই যুবক মাসকয়েক আগে গুজরাতে একটি গাড়ির কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন। গত বুধবার বিকেলে ভিন রাজ্যে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রানাঘাট থানার পায়রাডাঙার ওই দুই যুবকের। তাঁদের নাম সায়ন্তন দাস ও সুমন রায়। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ফিরল দুই যুবকের নিথর দেহ।
পায়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রীতিনগর গ্রামে বাবা পরিতোষ দাস ও মা বাবলি দাসের একমাত্র সন্তান ছিলেন সায়ন্তন। গত বছর নভেম্বর মাসে তিনি গুজরাতে গিয়েছিলেন। অন্য দিকে, সুমনের বাড়ি প্রীতিনগর গ্রামের চার নম্বর রাস্তায়। অস্বচ্ছল পরিবারের হাল ফেরাতে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল প্রায় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মোটরবাইকে চেপে পানীয় জল আনতে যাচ্ছিলেন দুই বন্ধু। বাইক চালাচ্ছিলেন সায়ন্তন। সেই সময়ে সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের বাইকটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সায়ন্তনের। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সুমনকেও মৃত বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা।
মৃত সায়ন্তন দাসের দাদু অনিল দত্ত বলেন, ‘‘যেটুকু জানতে পেরেছি, রাস্তার বাঁকের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁরা রাস্তায় পড়ে গেলে বড় কোনও গাড়ি ওদের পিষে দেয়।’’
বৃহস্পতিবার রাতে দুই যুবকের দেহ গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোক, আত্মীয়েরা। রাতেই সুমনের শেষকৃত্য করা হয়। শুক্রবার সকালে সায়ন্তনের দেহ সমাধিস্থ করা হয়।