CPM

কারও বুথে চোখ, কারও বা ব্রিগেডে

যার যেখানে যতটুকু শক্তি, সে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন হোক বা আইএসএফ সকলেই নিজের মতো করে ঘর গোছাতে শুরু করছে। ভোট চলে এল যে!

Advertisement

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:০৪
Share:

ব্রিগেড প্রচারে বাইক মিছিল। শনিবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র।

শেষমেশ ভোটের বাদ্যি বেজেই গেল। এত দিন যেটুকু বা গড়িমসি ছিল সব ঝেড়ে ফেলে আজ, শনিবার থেকে বাড়তি উৎসাহ নিয়ে ময়দানে নামছে সব দলই।

Advertisement

মার্চের শেষ থেকে গোটা এপ্রিল জুড়ে আট দফায় বিধানসভা ভোট। তার মধ্যে ১৭ এবং ২২ এপ্রিল, যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় নদিয়ার ১৭টি কেন্দ্রে ভোট। শুক্রবার বিকেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই সরগরম প্রায় সব দলের কার্যালয়। প্রচার তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়, অপেক্ষা এ বার প্রার্থীর নামের।

গত লোকসভা ভোটের নিরিখে নদিয়ায় তাঁদের অবস্থা যতই কঠিন হোক, তৃণমূলের নেতারা সেই চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি হচ্ছেন। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল বিশ্বাসের কথায়, “ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়া মানেই ব্যাপারটা একদম অন্য রকম। এখন কর্মীদের বুঝতে হবে, জয় করায়ত্ত করার জন্য প্রতিটি বুথে প্রচার এবং প্রস্তুতি তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কাজটা আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল। দেওয়াল লেখার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে আমাদের প্রার্থীর নামও হয়তো ঘোষণা হয়ে যাবে।”

Advertisement

গত লোকসভা ভোটে শেষ মুহূর্তে রানাঘাট কেন্দ্রের টিকিট পেয়ে মতুয়া ঢেউয়ে অভাবনীয় দু’লাখ মার্জিনে জয় পেয়েছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। তিনি বলছেন, “আমরা প্রচারের কাজ কবে শুরু করে দিয়েছি! রাজ্যে পরিবর্তন যাত্রার সূচনাই তো হয়েছে নবদ্বীপ থেকে।” তবে তাঁদের ‘পাখির চোখ’ এখন ব্রিগেড। জগন্নাথ বলেন, “এখন সবচেয়ে বড় কাজ ৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক সমর্থক নিয়ে যাওয়া। তার প্রচার চলছে জেলা জুড়ে। এর পর প্রার্থীর নাম ঘোষণাও শুরু হয়ে যাবে ধাপে ধাপে।”

বাম-কংগ্রেস জোটও এখন চূড়ান্ত ব্যস্ত ব্রিগেড নিয়ে। সিপিএমের নদিয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “এখন আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি বুথ থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ব্রিগেডে পৌঁছনো। লক্ষ মানুষের ভিড়ে নিজের শক্তি সম্পর্কে জেনে ফিরে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে। ব্রিগেডের জন্য লেখা দেওয়াল জোটপ্রার্থীর জন্য নতুন করে লেখা হবে।” নদিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম বলছেন, “এ বার নির্বাচন ঘিরে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি শুরু হবে। ২৮ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশে যত কর্মী যাবেন বলে মনে হচ্ছিল, এখন তাদের সংখ্যা অনেক বাড়বে। জোটপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হলেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব।”

যার যেখানে যতটুকু শক্তি, সে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন হোক বা আইএসএফ সকলেই নিজের মতো করে ঘর গোছাতে শুরু করছে। ভোট চলে এল যে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement