সাগরদিঘিতে শেষ দিনের প্রচারে কংগ্রেসের প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
প্রচারের শেষ দিনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস চষে বেড়ালেন মোরগ্রাম ও বন্যেশ্বরের বিভিন্ন গ্রামে। সঙ্গে কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
এ ছাড়াও এ দিন প্রচারে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, জেলা সম্পাদক জয়ন্ত দাসও। এ দিন কংগ্রেস অফিসে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, আগামী দু’দিন বুথগুলিকে আগলে রেখে বহিরাগতদের আটকানোই প্রধান কাজ।
গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচারে ব্যাপক হাওয়া তুললেও এই মুহূর্তে সাংসদ অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের অধিবেশনে যোগ দিতে মধ্যেপ্রদেশের রায়পুরে। তাই বাইরনের শেষ বেলার প্রচারে এখন প্রধান ভরসা জেলার নেতারাই। এ দিন অবশ্য বাইরন যে গ্রামেই গিয়েছেন তাঁকে ঘিরে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম কর্মীরাও যথেষ্ট খাটছেন।”
বাইরন দুপুরে প্রচারের ফাঁকে বলেন, “যে গ্রামেই গিয়েছি মানুষ বেরিয়ে এসেছেন। কোথাও মালা পড়িয়েছেন। কোথাও হাত মেলাচ্ছেন। এক সঙ্গে হাঁটছেন। ভাল লেগেছে। যেন উৎসবের মেজাজ সর্বত্র। আমি প্রচারে মানুষকে আশ্বাস দিচ্ছি জয়ী হলে মানুষের বাড়িতে জল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেব।’’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তৃণমূল ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও এত কাঁচা বাড়ি কেন? তা হলে উন্নয়নটা কী হয়েছে? প্রতিটি গ্রামে আবাস যোজনা নিয়ে চুরি ও কাটমানির অভিযোগ।”তবে তাঁর মতে, ভোট প্রচারে নেমে তার নামে যে ভাবে ব্যক্তি কুৎসা ছড়িয়েছেন তৃণমূলের নেতারা তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি কোথাও কারও নামে একটি খারাপ কথাও বলিনি প্রচারে। অথচ আমার নামে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে। সাগরদিঘির মানুষ এর জবাব দেবেন।”