দখলের আগে (বাঁ দিকে )। দখলের পরে (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
আট বছর পর বিনা বাধায় দলীয় কার্যালয় পুনর্দ্ধার করল সিপিএম। চাকদহ শহরে ২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূলের কার্যালয়ে তারা লাল রং করে নিয়েছে। এক সময় এটা সিপিএমের কার্যালয় ছিল। অভিযোগ,পরে সেটা তৃণমূল দখল করে নিয়েছিল। খুব শীঘ্রই এই কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
সিপিএমের চাকদহ এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বর্ণেন্দু দত্ত বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের সহযোগিতায় নিয়ে আমরা আমাদের দলের ওই কার্যালয় পুনর্দ্ধার করতে পেরেছি। এ ব্যাপারে কেউ কোনও বাধা দেননি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।’’ তিনি বলেন, “এক সময় এখানে মন্দির বানাতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু এলাকার মানুষ তাতে বাধা দিয়েছিলেন।’’
সিপিএম ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে চাকদহ শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবাগানপাড়া এলাকায় দলের ২ নম্বর শাখা অফিস তৈরি করা হয়েছিল। সেই থেকে মিয়মিত দলীয় কর্মীরা সেখানে বসতেন। দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হত। ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসে। অভিযোগ, পরের বছর ওই কার্যালয় তৃণমূল দখল নেয়। তারা সেখানে কার্যালয় তৈরি করে।
দলীয় কার্যলয়ের কথা অস্বীকার করেছে যুব তৃণমূল। চাকদহ শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ টিকাদার বলেন, “ওটা আমাদের অফিস ছিল বলে আমার জানা নেই। ওটা এক সময় সিপিএমের অফিস ছিল। মাঝে বিজেপি দখল নিয়েছিল। সেটা আবার সিপিএম ফিরিয়ে নিয়েছে।”
সিপিএমের আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি চাকদহ শহর মণ্ডলের সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা ওখানে কখনই মন্দির করতে চাইনি। আমি যতদূর জানি, এক সময় ওখানে সিপিএমের কার্যালয় ছিল। পরে তৃণমূল সেটা দখল করেছিল। সেখানে অসামাজিক কাজ হচ্ছিল। সেই কারণে এলাকার মানুষ আমাদের সেখানে বসতে বলেছিল। আমরা সেখনে বসতাম। তৃণমূল সেটা ছিনিয়ে নিয়েছিল। শহরে বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূল এ বার সিপিএমকে অফিসটা উপহার দিয়েছে।”