ফাইল চিত্র।
পড়শি জেলা বীরভূম ঘেঁষা নবগ্রাম বিধানসভা। এলাকায় এক সময় ‘বাম দুর্গ’ বলেই পরিচিত ছিল। রাজ্যে পালাবদলের পরেও ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে পরপর দু’বার বিধায়ক হন তৎকালীন বাম প্রার্থী কানাইচন্দ্র মণ্ডল।
তারপর ২০১৮ সালে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী তথা সেই সময় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখান কানাইবাবু। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। তবে, একটা সময় ‘বামদুর্গ’ হিসেবে পরিচিত নবগ্রামে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটে কার্যত কোণঠাসা অবস্থা হয়েছিল বামেদের। ওই নির্বাচনে বামেরা নেমে আসে একেবারে চতুর্থ স্থানে। দ্বিতীয় হয় বিজেপি, তৃতীয় কংগ্রেস। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কি হৃত গড় ফেরাতে পারবে বামের? সেই আশা এখনই দেখা না গেলেও এখন থেকেই কোমর কষে নামার কথা ভাবছেন বাম নেতারা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চূড়ান্ত হলে এই আসনে জোর লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। নবগ্রাম পূর্বের কংগ্রেস নেতা ধীরেন্দ্রনাথ যাদব বলছেন, ‘‘আমরা যদি জোটবদ্ধ হয়ে লড়তে পারি তাহলে এই আসনে এবার আনমাদের জয় নিশ্চিত। তবে কংগ্রেসের কেউ প্রার্থী হলে সেই সম্ভাবনা আরও বাড়বে। কারণ, এখানে কংগ্রেসের ভাল ভোটব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে।’’ নবগ্রামের সিপিএমের নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক মুকুল মণ্ডলও একই সুরে বলছেন, ‘‘জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করলে আমাদের জয় নিশ্চিত। আমাদের মধ্যে অনেকে তৃণমূলে নাম লেখানোয় সংগঠনের একটা ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভুল বুঝছেন। এখন আমাদের সভায় ভিড় হচ্ছে প্রচুর।’’ তবে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বিধায়ক হলেও কানাইবাবু এখনও মাটিতে পা রেখেই চলেন। এলাকায় উন্নয়নও করেছেন তিনি। তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিও রয়েছে এলাকায়। তৃণমূলের আশা, সেই গুণাবলিই এবারও ভোট বৈতরণি পার করে দেবে তাদের।