CPIM

জোটে না ভোটে, বাম জানাবে দ্রুত

দলের অন্দরের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব নিজেরা সাগরদিঘির দায়িত্ব না নিয়ে জেলা কমিটির উপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দিয়েছেন।

Advertisement

বিমান হাজরা

সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:২১
Share:

সাগরদিঘি উপনির্বাচলে সিপিএমের সিদ্ধান্ত কী হবে? প্রতীকী চিত্র।

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে, না ভোটে প্রার্থী দেবে, সে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা আজ মঙ্গলবার। এ দিনই দুপুরে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ফয়সালা হওয়ার কথা তার।

Advertisement

দলের অন্দরের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব নিজেরা সাগরদিঘির দায়িত্ব না নিয়ে জেলা কমিটির উপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসে সাগরদিঘির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, এমনটাই জানিয়েছেন জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সাগরদিঘির বাসিন্দা জ্যোতিরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাগরদিঘিতে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিজেপিও প্রার্থী দিচ্ছে। এই অবস্থায় সাগরদিঘির যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে সিপিএম প্রার্থী দিলে তৃণমূলের সাগরদিঘি আসনটি পুনর্দখল প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।তাই প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সিপিএমের মধ্যে দোটানায় রয়েছেন বহু নেতা।

Advertisement

সাগরদিঘির পরিচিত এক সিপিএম নেতার মতে, ২০২১ সালের সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনেকটাই তফাত রয়েছে। দুর্নীতি, চুরি, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে জেরবার তৃণমূল। বহু নেতা, মন্ত্রী জেলে। সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তৃণমূলের উপর সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায়। এই অবস্থায় সিপিএমের রাজনৈতিক শক্তি কতটা বৃদ্ধি ঘটেছে প্রার্থী দিয়ে তা যাচাই করে নেওয়া দরকার।তা ছাড়া, ওই নেতার মতে, কংগ্রেসকে সাগরদিঘি আসনটি এ বারও ছেড়ে দিলে ভবিষ্যতে কংগ্রেস বারবার তা দাবি করবে। অথচ ১৯৭৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৭ বার সাগরদিঘিতে জয়ী হয়েছে সিপিএম। ২০১১ ও ২০১৬ সালে সাগরদিঘি হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণেই।

আবার দলের আর এক নেতার কথায়, কংগ্রেস এখন দুর্বল। আসল শত্রু বিজেপি ও তৃণমূল। তাই তাদের হারাতে না পারলে বাম ভোট নিজেদের স্বপক্ষে ফিরিয়ে আনা যাবে না। তা ছাড়া, সাগরদিঘিতে একক ভাবে প্রার্থী দিয়ে দল জিততে পারবে না। পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে তাই নিজেদের নাক কেটে লাভ নেই। বরং বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে তৃণমূল ও বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসের পাশে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও ২০২১ সালে প্রার্থী না দিয়ে কংগ্রেসকে সমর্থন করেও সিপিএমের লাভ হয়নি।

সাগরদিঘিতে নির্বাচন ২৭ ফেব্রুয়ারি। তৃণমূল পুরোদস্তুর প্রচারে নেমে পড়েছে। গ্রামে গ্রামে দেওয়াল লিখন প্রায় শেষ। কংগ্রেস লিখন শুরু করতে না পারলেও চুনের প্রলেপ দেওয়া সেরে ফেলেছে দেওয়ালে। সিপিএম এখনও এমন কিছুই শুরু করেনি যাকে নির্বাচনে নামার প্রস্তুতি মনে করা যেতে পারে। জ্যোতিরূপবাবু বলেন, “প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে না। সিদ্ধান্ত ঘোষণা হলেই এক দিনেই সাগরদিঘি ভরিয়ে দেবেন কর্মীরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement