বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
প্রশাসনিক আধিকারিকদেরই আক্রমণ করলেন বামেদের নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সরকারি সমস্ত প্রকল্পের টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে শাসক তৃণমূল। কিন্তু ওই ঘটনার জন্য শাসক দলের নেতৃত্ব যতটা না দায়ী, তার থেকেও বেশি দায় প্রশাসনিক কর্তাদের।
সোমবার কান্দি মহকুমায় পৃথক তিনটি সভা করে সিপিএমের যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ওই দাবি করেন। ওই দিন বেলা দশটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভরতপুর ২ ব্লকে স্মারকলিপি দিয়ে শুরু হয়, পরে কান্দিতে মিছিল, বড়ঞা ব্লকের ডাকবাংলো ময়দানে সভা ও ভরতপুর ১ ব্লকে সভা করেন মীনাক্ষী।
ওই সভা থেকে কখনও একশো দিনের কাজের বেতন নিয়ে কথা বলেছেন তো কখনও আবার কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে মীনাক্ষীকে। মীনাক্ষী বলেন, “একশো দিনের কাজে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষরা কাজ করেন, তাঁদের কাজের টাকা মেরে দেওয়া হচ্ছে, ওই কাজের পারিশ্রমিক বাড়ানো হচ্ছে না।” একই সঙ্গে আবাস যোজনার ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হচ্ছে বলেও দাবি করে মীনাক্ষী বলেন, “আমরা ভয় পেয়ে গর্তে ঢুকে যাইনি। আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি। আবাস যোজনার ঘরের তালিকা স্বচ্ছ ভাবে প্রকাশ করতে হবে, না হলে আমরা ডিওয়াইএফআই কিন্তু রাজ্য জুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে পিছু হটবে না।” মিনাক্ষী বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তৃণমূলের সময় ঘনিয়ে এসেছে। তৃণমূলের নেতারা আজকে আছে কাল থাকবে না। ফলে প্রশাসনের কর্তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ ওরাই সরকারি টাকা তছরুপ করতে সাহায্য করেছে, তাই জবাব দিতেই হবে।”
ওই দিনের সভা বানচাল করার জন্য শাসক দল বহু চেষ্টা করেছে বলেও দাবি করে মীনাক্ষী বলেন, “যে ভাবে আজকে সভা বানচাল করার জন্য বোমা বিস্ফোরণ করেছে তৃণমূল, সেই ভয় কে উপেক্ষা করে সভায় এসেছেন ঠিক এই ভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। ভয় পেয়ে পিছু হটে যাবেন না।”
ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘সভায় লোকজন না হওয়ায় সভা জমেনি, সেটা ঢাকতেই বোমার কথা বলা হয়েছে। তৃণমূলকে বোমা নিয়ে রাজনীতি করতে হয় না।’’
বোমাবাজির তত্ত্ব ঠিক নয় বলে দাবি করে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘বোমাবাজির অভিযোগ শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে, সেখানে শব্দবাজি ফাঠানো হয়েছে। বোমাবাজি হয়নি।’’