ভাগীরথী দুগ্ধ সমবায়ের ‘স্পেশাল অফিসার’ নিয়োগ বাতিল করে দিল হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী ওই নিয়োগ বাতিলের করে দেন। আদালতের নির্দেশ, ‘‘আগামী চার মাসের মধ্যে ওই সমবায়ের পরিচালন সমিতির নির্বাচন করতে হবে।’’
এই দিনের নির্দেশের পর চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ওই দুগ্ধ উৎপাদক পরিচালন সমিতির নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কো-অপারেটিভ সোসাইটি’র জেলা সহ-নিবন্ধক বিনয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ওই নির্বাচন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মতো নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন।’’
গত ২০০১ সাল থেকে ওই পরিচালন সমিতি কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। প্রতি তিন বছর অন্তর ওই দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ২০১২ সালে নিয়ম মতো ভোট হয়নি। ভোট না করিয়ে ‘স্পেশাল অফিসার’ নিয়োগ করে পরিচালন সমিতির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া। এরপরই দুগ্ধ উৎপাদককারীরা হাইকোর্টে মামলা করেন।
মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, পশ্চিমবঙ্গ সমবায় আইনের ৩৬ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনও সমবায়ে স্পেশাল অফিসারের মেয়াদ সর্বাধিক ছ’মাস। তার মধ্যে সমবায়ে পরিচালন সমিতির ভোট করতে হবে। কিন্তু ওই দুগ্ধ সমবায় সমিতিতে ২০১২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচন করা হয়নি। ‘স্পেশাল অফিসার’ পরিচালন সমিতির যাবতীয় কাজকর্ম সামাল দিচ্ছেন। বিচারপতি দ্রুত ভোট করার নির্দেশ দিয়েছেন।
চরহালালপুর দুগ্ধ উৎপাদক সমিতির সভাপতি পীযুষকান্তি ঘোষ, তিলিপাড়া দুগ্ধ উৎপাদক সমিতির সভাপতি সুদেব নন্দী ও মধুরকুল দুগ্ধ উৎপাদক সমিতির সভাপতি বিকাশ ঘোষ ‘স্পেশাল অফিসার’ নিয়োগে আপত্তি তুলে মাস সাতেক আগে হাইকোর্টে মামলা করছিলেন।
ওই দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতিতে ১২টি আসন রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টানা সমিতিতে বিরোধীশূন্য ভাবে রোর্ড গঠন করে আসছিল কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ জেলা দুগ্ধ উৎপাদক সঙ্ঘের যুগ্ম সম্পাদক তথা মামলাকারীদের অন্যতম পীযুষকান্তি ঘোষ জানান, প্রতি তিন বছর অন্তর ওই দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু ২০০৯ সালের পর ওই সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির ভোট হয়নি। সমবায় সমিতি কংগ্রেসের দখলে থাকায় রাজনৈতিক কারণেই ২০১২ সালে ভোট না করে প্রশাসক বসানো হয়।