প্রতীকী ছবি।
করোনার মতো উপসর্গ যাঁদের রয়েছে তাঁদের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছিল সারি হাসপাতাল। কিন্তু গত এক মাসের মধ্যে সেখানে কাউকে ভর্তি করা হয়নি। তার বদলে উপসর্গযুক্ত রোগীকে জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওটা শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের ভিতরেই অনেকে বলছেন, সারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি থাকলে চিকিৎসকদের কার্যত তিনটি হাসপাতালের দায়িত্ব সামলাতে হবে। সেটা যাতে করতে না-হয় তার জন্যই জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সারি হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি করছেন না। তার বদলে সরাসরি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ওই রোগীদের রেখে চিকিৎসা করছেন।
যদিও জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড দিয়েই ভাল ভাবে কাজ চলে যাচ্ছে বলে সারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি রাখার প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে কৃষ্ণনগরের কর্মতীর্থে সারি হাসপাতাল তৈরি রাখা হয়েছে। যখনই প্রয়োজন মনে হবে তখনই তা ব্যবহার করা হবে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথা, “আমরা আসলে চাইছি, যতটা সম্ভব এক ছাদের তলায় করোনা-সংক্রান্ত চিকিৎসা করতে। তাকে লোকবল যেমন কম লাগবে তেমন চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও
কম থাকবে।”
কৃষ্ণনগর কর্মতীর্থের কোয়রান্টিন সেন্টারকে সারি হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়। গত ১৮ জুন ৬০ শয্যার ওই সারি হাসপাতালটি চালু করা হলেও কোনও রোগী ভর্তি হয়নি সেখানে। অথচ, এই সারি হাসপাতালে সর্বক্ষণের এক জন চিকিৎসক, এক জন নার্স, এক জন কর্মী ও এক জন সাফাইকর্মী রয়েছেন।
কথা ছিল জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের সারি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সেখানে রেখে দেওয়া হবে। রিপোর্ট পজেটিভ এলে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে আর নেগেটিভ এলে তাঁকে সারিতে রেখেই চিকিৎসা হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সবাইকেই ভর্তি করা হচ্ছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
এক চিকিৎসক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, “সারি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করার মতো রোগী এখন আসছে না। তা ছাড়া, শক্তিনগরে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হলে পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে বিষয়টি থাকছে। এখানে প্রয়োজনে রোগীকে সিসিইউ থেকেও ভেন্টিলেশনে নিয়ে আসা যাবে।”
কোভিড পজ়িটিভ রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলায় যে ‘নিরাপদ বাড়ি’ তৈরি করা হয়েছিল সেখানকার পরিষেবা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, সেখানেও করোনা-আক্রান্তদের রেখে চিকিৎসা হচ্ছে না।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে হাসপাতালের বাইরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য জেলায় আটটি নিরাপদ বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। তার মধ্যে পাঁচটি এখনও পর্যন্ত চালুই করা যায়নি। তিনটি চালু হলেও তাদের মধ্যে হরিণঘাটার নিরাপদ বাড়িতে এখনও পর্যন্ত কোনও রোগী ভর্তি হননি চিকিৎসার জন্য। ধুবুলিয়া ও করিমপুরের নিরাপদ বাড়ি(সেফ হোম)-তে প্রথম দিকে রোগী ভর্তি হলেও বেশ কিছু দিন ধরে তা ফাঁকাই পড়ে আছে।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে