ছবি রয়টার্স।
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তাঁরা ‘বাড়ি’ ফিরলেন। কিন্তু ঘরে ঢুকতে পারলেন না। তাঁদের ঠাঁই হল সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে। কারণ, তাঁরা ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক। বিশেষ ট্রেনে রাজস্থান থেকে ফিরেছেন। তাঁরা আপাতত করোনা-সংক্রমণের ব্যাপারে সন্দেহভাজনদের তালিকায়। মঙ্গলবার রাজস্থান থেকে ফিরেছেন নদিয়া জেলার দশ জন শ্রমিক। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “১৪দিন কোয়রান্টিন সেন্টারে নজরদারিতে থাকবেন তাঁরা। সেই সময় কারও শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হবে।”
সেখানে আগে থেকেই তৈরি হয়ে ছিল বিশেষ হেলথ টিম। তার সদস্যেরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করোন। থার্মাল গান দিয়ে জ্বর পরীক্ষা করা হয়। শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ দেখা দিয়েছে কিনা পরীক্ষা হয়। তবে কারও দেহে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদেরকে তোলা হয় নদিয়া জেলা প্রশাসনের একটি বাসে। সেই বাসে করে তাঁদেরকে কোয়রান্টিন সেন্টারে আনা হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এই দশ জন মূলত চাকদহ ও শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “রাজস্থান থেকে ফেরা শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখা হবে।”
জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও আটকে আছেন। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে অনেকে চলে এসেছিলেন। কিন্তু সকলে পারেননি কেউ কেউ হাঁটতে হাঁটতে ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন। বিশেষ ট্রেন চালানো শুরু হলেও অনেকে তা ধরতে পারেননি বা ধরার জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বুঝতে পারেননি।