বাবা-মায়ের সঙ্গে। নিজস্ব চিত্র
মেয়ে স্নিগ্ধার বয়স মাত্র ১ বছর ১০ মাস। তার হার্টের সমস্যা। তার চিকিৎসার জন্য তেহট্টের খাসপুর থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে নিয়ে দক্ষিণে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন বাবা গণেশ মোদক ও মা শম্পা মোদক। সঙ্গে গিয়েছিলেন গণেশবাবুর এক ছাত্র প্রবীর বিশ্বাস। গণেশবাবু কম্পিউটার শিক্ষক। বেঙ্গালুরুতে তাঁরা একটি ঘর ভাড়া করেন। বেঙ্গালুরুতে অস্ত্রোপচার হয় স্নিগ্ধার। পুরোপুরি চিকিৎসা শেষ হয় মার্চ মাসে। বিমানে ফেরার পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। আটকে পড়েন তাঁরা। ক্রমশ ফুরিয়ে যাচ্ছে অর্থ। ভাল করে শিশুকন্যার দেখভালও করতে পারছেন না। এর মধ্যে এক বার নদিয়ার জেলাশাসককে ফোন করে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। জেলাশাসকে অফিস থেকে তাঁদের আপাতত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণেশবাবু।
জেলাশাসক বিভু গোয়েলের কথায়, ‘‘লকডাউন না মিটলে ওঁদের ফিরিয়ে আনা মুশকিল। তবে আত্মীয়েরা যাতে টাকা পাঠাতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে গণেশ ও শম্পার। তার উপর ঘর ভাড়া ও খাওয়া খরচ রয়েছে। তাঁরা অত্যন্ত বিপদে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। ফোনে শম্পা মোদক বলেন, ‘‘টাকার অভাবে ভালমন্দ খাওয়ানো যাচ্ছে না স্নিগ্ধাকে। কোনওমতে চাল-ডাল কিনে ঘরে রান্না করছেন তাঁরা। আলু সেদ্ধ-ভাত খেয়ে দিনের পর দিন কাটাতে হচ্ছে। ডিম মাঝেমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। দুধ-ফল তেমন মিলছে না। কবে ফিরতে পারবেন সেই চিন্তায় দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না তাঁরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)