প্রতীকী ছবি
মাসখানেক আগেও দিনের ব্যস্ত সময়ে প্রায় খাঁ খাঁ করত স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অভিযোগ, নিয়মিত চিকিৎসক না থাকায় নিতান্ত নিরুপায় না হলে বেলডাঙার মহুলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পা পড়ত না রোগীদের। ধুঁকতে থাকা সেই হাসপাতালেরই ‘আঁধার’ ঘুচে গিয়েছে গত কয়েক দিনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, করোনার-ছায়ায় হঠাৎই আলো জ্বলে উঠেছে বেলডাঙা-১ ব্লকের মহুলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
হাসপাতালের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। লকডাউনে যানবাহন চলাচল বন্ধ। মাঝেমধ্যে আওয়াজ তুলে ছুটে চলেছে গাড়ি ট্রাক। ধু ধু রাস্তার পাশে উল্টো চিত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে এখন রোজই রোগীদের ভি়ড়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত এক মাস ধরে মহুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন চিকিৎসক রোগী দেখতে আসছেন। সোম থেকে শনিবার—নিয়মিত তিনি রোগী দেখছেন। করোনা-ভয় তার পাশাপাশি লকডাউন চলায় দূরের হাসপাতালে যাওয়া ঝক্কির বুঝে আশপাশের ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দারা আসছেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে।
প্রতিদিন দেড়শো-দু’শো রোগী দেখছেন চিকিৎসক আজরা জাবিন। তাঁকে সাহায্য করার জন্য আছেন ফার্মাসিস্ট তরুণ দাস। এর পাশাপাশি একজন হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসক রোগী দেখছেন। গত এক মাস ধরে চোখের রোগের নানা চিকিৎসাও হচ্ছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রতিদিন সকাল থেকেই সেখানে রোগীরা ভিড় করছেন।
হাসপাতালের হাল ফেরায় খুশি গ্রামবাসীরা। এক স্থানীয় বাসিন্দা বৃহস্পতিবার বললেন, ‘‘আশপাশের কয়েক হাজার মানুষের চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অথচ মাসখানেক আগেও এখানে নিয়মিত চিকিৎসক মিলত না।
জ্বর কিংবা অন্য ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে আসা রোগীকেও অন্যত্র যেতে হত। জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত মিলত না।
কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্ত হতেই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা আরও উন্নত হয়েছে। ধুঁকতে থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্র হঠাৎ জেগে উঠেছে। অ্যালোপ্যাথি, হোমিয়োপ্যাথির পাশাপাশি চোখের চিকিৎসাও হচ্ছে।’’