Coronavirus

বাড়িতে ফেরানোর চেষ্টা শুরু বাবা-ছেলেকে

সে ব্যাপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গিয়েছে, সোনারপুর থানার রাজগ্রামে যে এলাকায় বুবাই রায় ও তাঁর ছেলে আকাশের বাড়ি, সেই এলাকাটি কন্টেমেন্ট এলাকা হওয়ায় এখন সেখানে যাওয়া সমস্যা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০৩:৫২
Share:

স্কুলঘরে ভাত জুটেছে পিতা-পুত্রের। ফাইল চিত্র।

ছামুগ্রাম স্কুলের ছাদে লকডাউনের চল্লিশ দিন ভয়ে-অবসাদে আটক থাকার পরে উদ্ধার হওয়া পিতা-পুত্রকে শেষতক বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগ নিল স্থানীয় প্রশাসন। সাগরদিঘির বিডিও শুভজিত কুণ্ডু জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে জেলার শীর্য কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ``এ দিনই সাগরদিঘির পঞ্চায়েত প্রধানকে ছমুগ্রামের ওই স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। খাওয়া ও থাকার সবরকম ব্যবস্থা করতে রাজি ছিল প্রশাসন। তবে, স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাঁদের পাশে রয়েছেন। তাঁরাই বাবা-ছেলের খাওয়া থাকার দায় নিয়েছেন। তবে, অনির্দিষ্টকাল এ ব্যবস্থা তো চলতে পারে না, তাই যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।”

Advertisement

সে ব্যাপারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গিয়েছে, সোনারপুর থানার রাজগ্রামে যে এলাকায় বুবাই রায় ও তাঁর ছেলে আকাশের বাড়ি, সেই এলাকাটি কন্টেমেন্ট এলাকা হওয়ায় এখন সেখানে যাওয়া সমস্যা। আপাতত তাই ছমুগ্রামই বাপ-ছেলের ঠিকানা হতে চলেছে।

ফরাক্কায় নির্মীয়মাণ সেতুর ঠিকা শ্রমিকের কাজ নিয়েই বুবাইয়ের ফরাক্কায় আসা. সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বছর পনেরোর ছেলে আকাশকে। কাজ বন্ধ হওয়ায় রেলপথ ধরেই গ্রামে পেরার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। রাস্তায় তাঁদের সম্বল ছিল আরপিএফের দেওয়া কিলো সাতেক চিঁড়ে। তা নিয়েই ছমুগ্রামের স্কুল বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। পাছে তাঁদের চোর ভাবে, তাই চেষ্টা করেও আর স্কুল বাড়ির বারান্দা থেকে নামতে পারেননি তাঁরা। জল আর সঙ্গে থাকা চিঁড়ে খেয়েই কোনওক্রমে টিঁকে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই চিঁড়ে ফুরিয়ে আসায় অসুস্থ হয়ে পড়ে আকাশ।বাধ্য হয়ে এক সময় বারান্দার নিভৃতবাস থেকে নেমে এসেছিলেন বুবাই।গ্রামের যুবক পল্লব চক্রবর্তী বলছেন, “আমরা ভাবতেই পারিনা, দিনের পর দিন ওই এক চিলতে বারান্দায় চিঁড়ে খেয়ে রয়ে যাবেন কেউ!`` এ দিন তাঁদের ফের স্থানীয় চিকি,সক এসে দেকে গিয়েছেন। বুবাই বলেন, “গ্রামবাসীরা যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছেন তা ভোলার নয়। ওঁরা আমাদের নতুন জীবন দিলেন।``

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement