ভিড় উধাও। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের কারণে মাসাধিক সময় ধরে বন্ধ ছিল মদের দোকান। মঙ্গলবার মদের দোকান খুলতেই সুরাপায়ীদের ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছিল দোকানদারদের। শুধু তা-ই নয় ভিড় সামলাতে নামতে হয়েছিল পুলিশকেও। অধিকাংশ মদের দোকানের সামনে দেওয়া হয়েছিল বাঁশের ব্যরিকেড। তারপর দু’দিন না ঘুরতেই তাল কেটেছে সুরাপায়ীদের। বুধবার জেলার হরিহরপাড়া, লালবাগ, বেলডাঙা সহ অন্য জায়গায় মদের দোকানের সামনে কিছুটা ভিড় থাকলেও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই অধিকাংশ মদের দোকান ছিল ফাঁকা।
হরিহরপাড়ার এক মদের দোকানের মালিক দিব্যেন্দু দত্ত বলছেন, ‘‘বুধবার কিছুটা ভিড় থাকলেও বৃহস্পতিবার খরিদ্দার ছিল হাতে গোনা। তা ছাড়া খরিদ্দারের চাহিদাও ছিল কম।’’ অনেকেই মনে করছেন মাসাধিক কাল মদের দোকান বন্ধ থাকায় দোকান খুলতে ভিড় ভেঙে পড়ে। কিন্তু সেই ভিড় ফিকে হয়ে গিয়েছে, লকডাউনের সময় হাতে যথেষ্ট টাকা না থাকায়।
ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই স্বীকার করছেন লকডাউনের কারণে নেই কাজ, এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল দোকানপাট, ফলে সাধারণ মানুষের হাতে টাকাও নেই। ফলে ইচ্ছে থাকলেও মদের দোকানের সামনে লাইন দিতে পারছেন না অনেকেই। খাস বহরমপুর শহরেও মদের দোকান বন্ধ। কেউ বলছেন, এখন বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ। বন্ধুদের ডাকাও যাচ্ছে না। তাই মদ খাওয়ার ইচ্ছে কমছে। বাড়িতে বাচ্চাদের সামনে মদ খেতে চাইছেন না অনেকেই।
হরিহরপাড়ার এক সুরাপ্রেমী বলছেন, ‘‘এক মাসের বেশি সময় কাউন্টার বন্ধ থাকায় আমাদের চড়া দামে মদ কিনতে হয়েছিল। মাঝে মধ্যে চোলাই দিয়েও চালিয়েছি।’’ অপর একজন সুরাপায়ী বলছেন, ‘‘নিয়মিত না খেলেও আমরা মাঝে মধ্যে একটু আধটু মদ্যপান করে থাকি। এখন চাল কিনলেও আনাজ কেনার মতো টাকা নেই। তাই মদ্যপান এখন বিলাসিতা।’’
তা ছাড়া, মদের দাম ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে সাধ থাকলেও সাধ্য নেই অনেক সুরাপায়ীর। ফলে অনেকে আবার ঝুকছেন সেই চোলাইয়ের দিকে। লালবাগের নিমতলা এলাকার এক মদের দোকানের মালিক অরুণাভ ঘোষ বলেন, ‘‘খোলার দিন প্রচুর ভিড় হয়েছিল। কিন্তু এখন একেবারেই ফাঁকা। মানুষের হাতে পয়সা নেই। তার উপর মদের দামের উপর ৩০ শতাংশ কর বেড়ে ৫২০ টাকার মদ ৬৭৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।’’