প্রতীকী ছবি
বার্নিয়ার পাঁচ জনের পরে আর কারও সংক্রমণের খবর না থাকলেও নদিয়া জেলায় প্রশাসন তেহট্ট নিয়েই বেশি চিন্তিত। কেননা এখনও তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালেই আইসোলেশনে থাকা লোকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তার পরেও বহু মানুষ লকডাউন না মানায় কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। মঙ্গলবার ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের গুরুত্ব সম্পর্কে তেহট্টের মানুষকে সচেতন করার জন্য নানা রকম চেষ্টা করেছে পুলিশ। মহকুমার অধিকাংশ জায়গায় গান গেয়ে জনসাধারণকে গৃহবন্দি থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে আসতে মানা করা হয়েছে। কিন্তু একশ্রেণির মানুষকে কিছুতেই বুঝিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। তাঁরা বিনা প্রয়োজনে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পাড়ার মোড়ে, মাঠের কোণে, দোকানের সামনে জমায়েত করে আড্ডা মারতে দেখা যাচ্ছে এঁদের।
গত রবিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় এবং এসডিপিও (তেহট্ট) শান্তনু সেনের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী তেহট্টের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালান। আটক করা হয় বেশ কিছু জনকে। কিন্তু পরে তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। তেহট্ট বড় মোড়ের একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু পুলিশে চলে গেলেই আবার মোটরবাইকে চেপে ঘোরাঘুরি শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই পুলিশ এ বার কড়াকড়ি শুরু করেছে।
এসডিপিও (তেহট্ট) বলেন, “কড়া ব্যবস্থা না নিলে এই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে আরও বেশি কড়া ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসন।“ তিনি জানান, বিনা কারণে মোটরবাইক নিয়ে বেরোলে আরোহীকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডিজ়াস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫-এর ৫১ (বি) ধারা এবং ৩৫৩ ধারায় মামলা রুজু করা হবে।
প্রশাসনের নজরে রয়েছে তেহট্ট হাউলিয়া পার্ক মোড়ের বাজার, বেতাই বাজার, হোগলবেড়িয়ার বাজারও যেখানে এখনও ভাল মতো জমায়েত হচ্ছে। ওই সমস্ত এলাকায় সিঁড়ি ভাঙা পদ্ধতিতে ব্যারিকেড করা তে পারে যাতে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেই লোকে বাজার করতে পারে। ইতিমধ্যেই হোগলবেড়িয়া বাজারে ব্যারিকেড করা হয়েছে। এ দিনই হাউলিয়া পার্ক মোড়ে বিভিন্ন দোকানের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।