প্রতীকী ছবি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হল আরও দু’জনের। দু’জনেই বৃদ্ধ। তাঁদের মধ্যে এক জন বৃদ্ধের বাড়ি সুতিতে। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ তাঁর করোনা হাসপাতালেই মৃত্যু হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁর এই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল। এই বৃদ্ধের উচ্চ রক্তচাপ ও সুগার ছিল বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর। আর এক জনের বাড়ি জঙ্গিপুরে। দু’দিন আগে তাঁকে করোনা হসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি মারা যান বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা। তাঁরও নানা অসুখ ছিল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘করোনা পজ়িটিভ দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নিচ্ছি।’’ এই দু’জনকে নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যু হল ১১ জনের।
জেলায় করোনা সংক্রমণ আবার বেশ ভার হারেই বাড়তে শুরু করেছে বলেও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। তাঁদের মধ্যে ভগবানগোলা-২ ব্লকের এক গ্রামীণ চিকিৎসক, বহরমপুর ও জঙ্গিপুরের ৫ জন পুলিশ কর্মী রয়েছে। ফরাক্কার পরে ফের গ্রামীণ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই গ্রামীণ চিকিৎসক রানিতলা থানার বিডিও অফিসপাড়ার বাসিন্দা। গত ২৭ তারিখে তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বুধবার রাতে তাঁর করোনা পজ়িটিভ হয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই চিকিৎসক বিডিও অফিসপাড়ায় বাড়িতে চেম্বার খুলে চিকিৎসা করতেন। সূত্রের খবর রানিতলারই জাফরের মোড়ের এক যুবক গত ২১ জুলাই করোনা আক্রান্ত হন। তার আগে ওই যুবক এই গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। ওই যুবকের করোনা পজ়িটিভ হওয়ার পরে গত ২৭জুলাই এই চিকিৎসকের লালারস সংগ্রহ করা হয়। লালারস নেওয়ার আগে তিনি চেম্বার করেছেন। ফলে অনেকেই তাঁর কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিন তাঁর সংস্পর্শে আশা ২৪ জনের লালারস সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, গত সোমবার ফরাক্কার অর্জুনপুরের এক গ্রামীণ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পরে জানা যায় তিনি করোনা পজ়িটিভ ছিলেন। যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘এদিন অনেকেই আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তরা কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত তা আমার নজরে নেই।’’
বৃহস্পতিবার জেলার ১৭ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। করোনা রোগমুক্ত বেশ কয়েক জন কলকাতার কয়েকি হাসপাতালে গিয়ে করোনা রোগীদের সাহস জুগিয়েছিলেন। এমন ২১ জন এ দিন বহরমপুরে ফিরলে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)