COVID19

আসরে কেন্দ্র, টিকার জোগান নিয়েই সংশয়

রবিবার সকালে কোনও কোনও হাসপাতাল মাত্র একশোর মত টিকা নিয়ে কেন্দ্র চালু করেছিল।

Advertisement

সুস্মিত হালদার 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২১ ০৬:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

আজ, সোমবার থেকে সব বয়সের নাগরিকের টিকার দায়িত্ব কেন্দ্রের। এত দিন ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকা কিনে এসেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হাতে বেশি টিকা মজুত ছিল না। নতুন ব্যবস্থায় কী দাঁড়ায় সেই দিকেই আপাতত চেয়ে জেলার স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্তারা।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কেন্দ্র টিকা পাঠালেও কোন বয়সের বা গোষ্ঠীর গ্রহীতাকে কত টিকা দেওয়া হবে তা ঠিক করবে রাজ্য। রাজ্যই ঠিক করবে ‘প্রায়োরিটি গ্রুপ’। ফলে আজ নতুন ব্যবস্থায় পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা কারও কাছেই পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

জেলায় আপাতত ১৯০টির মত টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গোড়ায় প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র থেকেই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরে টিকার অভাবে কেন্দ্রের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়। বর্তমানে সংখ্যাটা ৪০ থেকে ৫০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য শেষ বার টিকা পাঠানো হয়েছিল ৩ জুন। সে দিন ১৫৮৪০টি কোভ্যাকসিনের ডোজ় পাঠানো হয়। কেন্দ্রের তরফে ৪৫ বছর ও তদুর্ধ্বদের জন্য শেষ টিকা এসেছে গত ১৮ জুন, শুক্রবার। সে দিন ৪৬ হাজার কোভিশিল্ডের ডোজ় পাঠানো হয়েছিল। স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য, এক দিনে অনেককে টিকা দিয়ে দ্রুত ভাঁড়ার শূন্য করা যাবে না। হাতে যা টিকা থাকে তার ভিত্তিতেই রোজ কত জনকে টিকা দেওয়া যাবে তার হিসেব কষা হয়। সেই হিসাবে বর্তমানে অবস্থা বিশেষ ভাল জায়গায় নেই। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত জেলার হাতে কেন্দ্রের পাঠানো ৪২০৭০টি কোভিশিল্ড ও ৪৫৩০টি কোভ্যাকসিন ডোজ় আছে। আর রাজ্যের পাঠানো ৪১০টি কোভিসিল্ড এবং ১২৬০টি কোভ্যাকসিন ডোজ় রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ টিকা আছে জেলার ২১টি হাসপাতালে। ডিস্ট্রিক্ট ভ্যাকসিন স্টোরে মাত্র ৬২০০টি কেন্দ্রের এবং ২৫০টি রাজ্যের কোভিশিল্ড আর ৮০০টি কেন্দ্রের ও ৩৩০টি রাজ্যের পাঠানো কোভ্যাকসিন আছে।

রবিবার সকালে কোনও কোনও হাসপাতাল মাত্র একশোর মত টিকা নিয়ে কেন্দ্র চালু করেছিল। কারণ হাসপাতালগুলির কাছে যা টিকা আছে তা শেষ হতেও বেশি দিন লাগবে না। ফলে যদি দ্রুত টিকা না পাঠানো হয় তা হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “টিকা কেন্দ্র দিক বা রাজ্য, কী পরিমাণে টিকা পাঠানো হবে সেটাই বড় কথা। এখনও আমরা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে পেরেছি। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সকলকে টিকা দিতে গেলে অনেক বেশি জোগান থাকা দরকার।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement