Coronavirus

লালারস সংগ্রহ হল ৫৪ জনের

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, "বুধবার রাতে ওই ট্রেনে আসা সমস্ত যাত্রীর শারিরীক পরীক্ষা করা হয়েছে। কারও শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি। ৫৬ জনের লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০৩:৫৮
Share:

রয়টার্সের প্রতীকী ছবি।

কেরল-ফেরত কোনও পরিযায়ী শ্রমিকের প্রাথমিক ভাবে করোনা-উপসর্গ নেই, বুধবার রাতে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে, দীর্ঘ আড়াই দিনের যাত্রা শেষে ট্রেন থেকে নামার পরেই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পরীক্ষায়, শ্বাসকষ্ট, জ্বর এমনকি হাঁচি-কাশির মতো প্রাথমিক উপসর্গও মেলেনি কারও। তবে কেরল ফেরত যাত্রীদের ৫৪ জনের লালারস পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবেরটিতে পাঠানোও হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, লালারস পরীক্ষায় কারও করোনা-পজিটিভ পাওয়া গেলে বাকিদেরও পরীক্ষা করা হবে। সে জন্য যাঁদের লালারস নেওয়া হয়েছে তাঁরা ট্রেনের কোন কামরায় ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে সহযাত্রী কে ছিলেন তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।

Advertisement

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, "বুধবার রাতে ওই ট্রেনে আসা সমস্ত যাত্রীর শারিরীক পরীক্ষা করা হয়েছে। কারও শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি। ৫৬ জনের লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সবাইকেই ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশাকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।"

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরল থেকে আসা বিশেষ ট্রেনে মোট ১১২৩জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১০৪৫জন মুর্শিদাবাদ জেলার। যাঁদের মধ্যে সিংহভাগ আবার ডোমকল, জলঙ্গি ও রানিনগর ১ ও ২ ব্লক এবং হরিহরপাড়া এলাকার।

Advertisement

বুধবার রাতে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে ছিলেন ডোমকলের এসিএমওএইচ মামুন রশিদ ও হরিহরপাড়ার বিএমওএইচ আজিজুল লস্কর। বৃহস্পতিবার সকালেও ওই পাঁচ ব্লকের বিএমওএইচদের কেরল ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন প্রশান্তবাবু।

তবে, বাড়ি রওনা দেবার আগে শ্রমিকদের প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজার, মাস্ক, এবং একটি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। শংসাপত্রে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ১৪দিন ঘরের বাইরে বেরনো যাবে না। তাতে স্বাস্থ্য দফতরের কন্ট্রোলরুমের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।

তবে, এমন বিপুল সংখ্যক কেরল ফেরত মানুষ এক রাতে জেলায় প্রবেশ করায় তা নিয়ে মৃদু আতঙ্কও ছড়ায়। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য আশ্বস্থ করেছেন, প্রত্যেকের পরীক্ষা হয়েছে। নজরদারিও রাখা হয়েছে তাঁদের উপরে।

অযথা ভয় পাওয়ার বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। কেরল ফেরত রানিনগরের মৃদাদপুরের সাদ্দাম হোসেনও অভয় দিচ্ছেন, ``আমরা সকলেই সুস্থ আছি। সকলেই হোম কোয়রান্টিনেই থাকব। আমাদের নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।``

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement