coronavirus

করোনার প্রচারে গ্রামীণ চিকিৎসক

একসময় এই গ্রামীণ চিকিৎসকেরা হাতুড়ে চিকিৎসক হিসাবেই পরিচিত ছিল।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২১ ০৫:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে প্রচুর লোকবল দরকার স্বাস্থ্য দফতরের। গ্রামাঞ্চলে করোনা সম্পর্কে প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ এত দিন চালাচ্ছিলেন মূলত আশাকর্মীরা। এখন তাঁদের সঙ্গে গ্রামীণ চিকিৎসকদের যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

Advertisement

একসময় এই গ্রামীণ চিকিৎসকেরা হাতুড়ে চিকিৎসক হিসাবেই পরিচিত ছিল। গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবায় এঁদের গুরুত্ব বিবেচনা করে স্বাস্থ্য দফতর এঁদের কিছু প্রশিক্ষণ ও সংশাপত্র দেওয়ার পরিকল্পনা নেয়। তখনই এঁদের নাম পরিবর্তন করে হয় গ্রামীণ বা পল্লি চিকিৎসক। তবে, স্বাস্থ্য দফতর বরাবরই জানিয়েছে, এই কর্মীরা রোগীর কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিলেও কোনও ওষুধ দিতে, ইঞ্জেকশন দিতে এমনকি স্যালাইন দিতেও পারবেন না। তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে এঁদের মনোমালিন্য হয়েছে। অনেকেই সেই নির্দেশ মানেননি এবং গ্রামে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এরই মধ্যে আবার করোনার জরুরি অবস্থায় এই গ্রামীণ চিকিৎসকদের করোনা-সচেতনতা বাড়ানোর কাজে রাজ্য ব্যবহার করতে চাইছে। রাজ্যজুড়েই তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। নদিয়ার হরিণঘাটা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। এলাকার ৬৪ জন গ্রামীণ চিকিৎসককে মঙ্গল ও বুধবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও অনেককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আশাকর্মীরা যেমন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করেন, এঁরাও সেটা করবেন। বিনামূল্যেই তাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।

Advertisement

কীভাবে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করতে হবে গ্রামীণ চিকিৎসকরা আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে দেবেন। আক্রান্তকে কী ভাবে আলাদা রাখতে হবে, পরিবারের সদস্যদের কী ভাবে, কখন মাস্ক পরতে হবে তা শেখাবেন। যদি কোনও বাড়িতে আলাদা ঘর না থাকে তা হলে আক্রান্তকে সেফ হোমে পাঠানোর ব্যবস্থাও করবেন। প্রয়োজনে রোগীর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা মাপবেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার মনে করলে সেটাও পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে দেবেন।

ব্লকে যোগাযোগ করে রোগীর ভর্তির ব্যবস্থাও তাঁরা করতে পারেন। তবে কোনও মতেই তাঁরা রোগীর জন্য ওষুধ দিতে বা লিখতে পারবেন না বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে।। হরিণঘাটা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ মজুমদার বলেন, “গ্রামীণ চিকিৎসকেরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আমাদের সহযোগিতা করবেন। আক্রান্তের উপসর্গ দেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া বা তাঁদেরকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে সাধারণ মানুষকেও সাহায্য করবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement