Coronavirus in West Bengal

চিকিৎসক কাকে দেখেছিলেন, খুঁজতে কালঘাম

রবিবার ওই চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার আগে সেই দিনই তিনি আট জন রোগীকে দেখেছিলেন তাঁর করিমপুরের চেম্বারে।

Advertisement

কল্লোল প্রামাণিক

করিমপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ০২:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা আক্রান্ত শিশু চিকিৎসক চেম্বারে রোগী দেখায় সংক্রমণের আশঙ্কায় ভীত এলাকার মানুষেরা। রবিবার ওই চিকিৎসকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার আগে সেই দিনই তিনি আট জন রোগীকে দেখেছিলেন তাঁর করিমপুরের চেম্বারে। তার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা রোগীদের চিহ্নিত করতে কালঘাম ছুটেছে করিমপুর ১ ও ২ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের।

Advertisement

ওই আট শিশুরোগীর মধ্যে পাঁচ জনকে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ওই চেম্বারের এক সহায়কের কথায়, “প্রশাসনের নির্দেশে ও নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে চেম্বারের কর্মীরা সকলেই রবিবার থেকে চেম্বারেই আইসোলেশনে আছি। বাড়িতে যাচ্ছি না বা পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করছি না। আমাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না-পাওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকব।”

অভিযুক্ত চিকিৎসক অশোক কুমার বালা-র কথায়, “গত শুক্রবার লালারস পরীক্ষা করতে দিয়েছিলাম। রবিবার রোগী দেখার সময় হঠাৎ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ফোন করে জানানো হয় যে, আমার রিপোর্ট পজিটিভ। তার পরেই আমি চেম্বার ছেড়ে বেরিয়ে যাই। তবে স্বীকার করছি, রিপোর্ট না জেনে চেম্বারে রোগী দেখা উচিত হয়নি। এটা আমার খুব ভুল হয়েছে।” ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা রোগীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হলেও আতঙ্ক কাটছে না এলাকার সাধারণ মানুষের। তাঁদের বক্তব্য, এক জন ডাক্তারবাবুর এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ক্ষমা করা যায় না। তাঁর বিরুদ্ধে কড়়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, করিমপুর ১ ও ২ ব্লক এলাকায় এত দিন যত কোভিড পজিটিভ কেস পাওয়া গিয়েছে তাঁদের প্রায় সকলেই ভিন রাজ্য বা ভিন জেলা থেকে আসা মানুষ। তাঁরা এলাকার কোনও নির্দিষ্ট কোয়রান্টিন সেন্টারে ছিলেন এবং তাঁদের সংস্পর্শে সাধারণ মানুষ আসেনি। কিন্তু এই ঘটনায় রোগীদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

করিমপুর ১ এর বিডিও অনুপম চক্রবর্তী জানান, যে ক’জন রোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে তাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। চার দিন পরে তাদের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসবে।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement