প্রতীকী ছবি।
রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। নিয়মিত ওযুধ খাওয়া তো আছেই, চিকিৎসার জন্য প্রায় হাসপাতালে ছুটতে হয়। তবু লকডাউনে নিজেকে গৃহবন্দি না-করে ছুটে বেড়াচ্ছেন কল্যাণী ব্লকের যুগ্ম বিডিও সুরঞ্জন বিশ্বাস।
এমনিতে ক্যানসার-আক্রান্তদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় বলে তাঁদের করোনার মতে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু তাতে দমানো যায়নি সুরঞ্জনবাবুকে। তিনি নিজের কর্তব্য ঠিক করে ফেলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘যুদ্ধ যেমন নিজের সঙ্গে, তেমনই করোনার বিরুদ্ধেও।’’
খবর এসেছিল মদনপুর আনাজ হাটে পারস্পারিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। তাই বৃহস্পতিবার ভোরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। মুখে মুখে মাস্ক পরতে বলার পাশাপাশি দূরত্ব বিধি বজায় রেখে বেচাকেনা করতে বলেন। ঘুরে দেখেন বিভিন্ন বাজারও।
একটু পরে সেখান থেকে সটান চাকদহের জঙ্গলগ্রামে ব্লক অফিসে চলে যান। এলাকার মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনে সাধ্যমতো তার সমাধান করেন। দুপুরে যান মদনপুর ১ পঞ্চায়েতের কালীগঞ্জের দাসপাড়া গ্রামের দিকে। শিশুদের বেবি ফুড দিয়ে ফেরেন নিজের অফিসে।
বাইরে কাজ করতে গিয়ে মারা গিয়োছিলেন তেঘড়ি এলাকার এক ব্যক্তি। তাঁর দেহ শ্মশানে পোড়াতে গিয়ে সমস্যা হতে পারে আন্দাজ করে রাতে চলে যান মার্ফোডাঙা শ্মশানে। রাত ১২টার পর দাহ শেষ করে বাড়ি ফেরেন। এ ভাবেই নানা কাজে দিন কাটে কল্যাণী ব্লকের যুগ্ম বিডিও সুরঞ্জন বিশ্বাসের। তাঁকে দেখে বোঝার উপার নেই, তিনি একজন ক্যানসার আক্রান্ত। প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। মাঝে মাঝে চিকিৎসা করাতে যেতে হয়। প্রশ্ন করতে এক গাল হেসে তিনি বলেন, “এটা আমার কাজ। সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা পালন করার চেষ্টা করছি।”