প্রতীকী ছবি।
করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঁচ দিন পড়ে রইল বছর ষাটেকের এক বৃদ্ধার মৃতদেহ। গত সোমবার হাসপাতালেই তিনি মারা যান। সে দিনই তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয়। সেই থেকে হাসপাতালের মর্গেই দেহ রাখা ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা যায়, রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। শনিবার প্রশাসনের তরফেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ব্যবস্থা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রানাঘাট ১ ব্লকের আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাটিগাছা এলাকায় মহিলার বাড়ি। বেশ কয়েক দিন তাঁর জ্বর ছিল। তাঁকে প্রথমে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে বহির্বিভাগে দেখানো হয়। গত ৩০ জুলাই তাঁকে হবিবপুর যাদব দত্ত হাসপাতালে দেখিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধও খাচ্ছিলেন। সোমবার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার শ্যামলকুমার পোড়ে বলেন, “ওই বৃদ্ধার লালারস সংগ্রহ করে কল্যাণীতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষা হতে একটু সময় লাগে। তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার বিষয়টি পরিবারের লোকেদের জানানো হয়েছে।” তাঁর দুই ছেলে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন, বাড়িতে আছেন তাঁর এক বৌমা এবং নাতনি। তাঁদেরও লালারস পরীক্ষা করা হবে বলে সুপার জানিয়েছেন।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)