Coronavirus in West Bengal

ফের মৃত্যু, চাকদহে সংক্রমণ লাগামছাড়া

বুধবার সকালে কল্যাণীর কার্নিভাল কোভিড হাসপাতালে  বছর ৬৫-র ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মারা যান। তাঁর বাড়ি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে লালপুরে। তিনি চাকদহের চৌগাছা পানুগোপাল হাইস্কুলের শিক্ষক। 

Advertisement

সৌমিত্র সিকদার

চাকদহ শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২০ ০০:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোনও ভাবেই করোনা সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না চাকদহে। তারই মধ্যে চাকদহ শহরে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এই শহরে করোনায় তিন জনের মৃত্যু হল।

Advertisement

বুধবার সকালে কল্যাণীর কার্নিভাল কোভিড হাসপাতালে বছর ৬৫-র ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মারা যান। তাঁর বাড়ি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে লালপুরে। তিনি চাকদহের চৌগাছা পানুগোপাল হাইস্কুলের শিক্ষক। পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর সুপ্রভাত বিশ্বাস বলেন, “ওঁদের মেয়ের শ্বশুরবাড়ির অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। মেয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন। তাই ওঁদের পরীক্ষা করা হয়েছিল। ভদ্রলোকের আগে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল।” রবিবার দু’জনেরই র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়। রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় সে দিনই তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃতের স্ত্রী এখনও কার্নিভালেই ভর্তি রয়েছেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুধু চাকদহ শহরেই এখনও পর্যন্ত ২৩৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। স্যানিটারি ইনস্পেক্টর জানান, ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেউ সংক্রমিত হননি। বাকি ২০টি ওয়ার্ডে ৩৭টি কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে। সংক্রমণের এলাকাগুলিতে জীবাণুনাশক ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কেন রোখা যাচ্ছে না করোনার বাড়বাড়ন্ত?

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকদহ শহর এবং গ্রামে বেশ কয়েকটি হাট এবং বাজার রয়েছে। সেখানে বহু লোকের সমাগম হচ্ছে। সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকছে। উপসর্গহীন বাহকেরা সে সব জায়গায় অবাধে ঘুরছেন এবং নিজের অজান্তেই অন্যদের সংক্রমিত করছেন। লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ঘরে থাকতে বলা হলেও অনেকেই তা মানছেন না। কন্টেনমেন্ট জ়োনেও অনেকে চলাফেরার বিধি-নিষেধ মানছেন না বলে অভিযোগ। অনেকে আবার শারীরিক সমস্যা হওয়া সত্ত্বেও হাসপতাল যাওয়া বা একঘরে হতে হওয়ার ভয়ে বেমালুম সে কথা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর মাস্ক ব্যবহারে অনীহার কথা যত কম বলা যায় ততই ভাল। চাকদহের বিডিও দেবজিত দত্ত আবার দাবি করেন, “স্বাস্থ্য দফতর থেকে কল্যাণী এবং চাকদহ ব্লককে এক সঙ্গে চাকদহ ব্লক হিসাবে পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণে সংখ্যাটা বেশি বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়া, আমাদের ব্লকে বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই কারণে অন্য জায়গায় তুলনায় সংখ্যাটা বেশি দেখাচ্ছে।”

চাকদহ পুরসভার প্রশাসক এবং কল্যাণীর মহকুমাশাসক ধীমান বাড়ৈও দাবি করেন, “ব্যাপক হারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাসপাতালে তো হচ্ছেই, এমনকি কন্টেনমেন্ট জ়োনে গিয়েও পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ এখনই কমে গিয়েছে বলে দাবি করব না। তবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement