Coronavirus in West Bengal

করোনার থাবা এ বার ডোমকলে

দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, দিন কুড়ি আগে বোমায় জখম এক রোগীকে নিয়ে এক মহিলা সহ ডোমকলের দু’জন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে গিয়েছিল।

Advertisement

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

ডোমকল শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২০ ০১:০৪
Share:

দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ডোমকলে তৎপরতা স্বাস্থ্য দফতরের।  —নিজস্ব চিত্র।

ডোমকল পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের জিৎপুর নতুন পাড়া এলাকার দুই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে।

Advertisement

দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, দিন কুড়ি আগে বোমায় জখম এক রোগীকে নিয়ে এক মহিলা সহ ডোমকলের দু’জন কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখান থেকে ৪ মে ফিরে আসেন তাঁরা। আর তার পরেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মারফত খবর পৌঁছয় ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে। ১১ মে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার রাতে সেই রিপোর্টে জানা যায়, দুই ব্যক্তিই করোনা আক্রান্ত। রবিবার সকালে তাঁদের বহরমপুর মাতৃসদন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে তাঁদের সঙ্গে যে মহিলা ছিলেন, তিনি আড়ালেই থেকে গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর তাঁর খোঁজ করছে।

করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে ডোমকলের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি আক্রান্ত দুই ব্যক্তি গোটা এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছেন। শনিবার গোরস্থান থেকে এলাকার মসজিদ সব যায়গাতেই তাঁদের অবাধ যাতায়াত ছিল। এমনকি এ দিন সকালেও এলাকার রেশন দোকানে গিয়েছিলেন আক্রান্তদের এক জন। ডোমকলের পুরপ্রধান জাফিকুল ইসলাম বলছেন, ‘‘এ দিন সকাল থেকেই দু’নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে, রাতেও আলো জ্বালিয়ে সে কাজ করা হবে।’’

Advertisement

মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলছেন, ‘‘ডোমকলের ওই দুই ব্যক্তিকে বহরমপুর মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এলাকায় আমাদের আধিকারিকরা গিয়েছেন তাঁরা গোটা ঘটনায় খতিয়ে দেখছেন।’’

মহকুমার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরি করে জীবাণুমুক্ত করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তা ছাড়াও যাঁরা এই দু’জনের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের লালারস সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ মে ওই তিন জন কলকাতা থেকে ফিরে আসার পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তিন জনকেই হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়ম মানেনি দু’জনের কেউ। আর পাঁচটা স্বাভাবিক মানুষের মতোই গোটা এলাকায় ঘুরেছেন তাঁরা। এলাকার বাসিন্দা, মুর্শিদাবাদ জেলা ইমাম সংগঠনের সংগঠক নিজামুদ্দিন বিশ্বাস বলছেন, ‘‘আমরা গোটা বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাতে প্রথমে কানই দেননি। আর আমরা নিজেরা ওই পরিবারের সদস্যদের সচেতন করতে গিয়ে বিফল হয়েছি। এখন গোটা এলাকা আতঙ্কে ভুগছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement